দুর্গাপুর কাণ্ডে নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্টে ধর্ষণের ইঙ্গিত
দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৪ অক্টোবর ২০২৫বর্তমানে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন নির্যাতিতা তরুণী। গোপন জবানবন্দি হয়ে গেলেই মেয়েকে ওড়িশায় নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন নির্যাতিতার বাবা। ওড়িশায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বড় অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুক্রবার রাতে ওড়িশার বাসিন্দা তথা দুর্গাপুরের শোভাপুর এলাকায় একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী তাঁর এক সহপাঠীর সঙ্গে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় কলেজের অদূরে কয়েকজন যুবক ওই তরুণীকে প্রথমে হেনস্থা করেন। তারপর টেনেহিঁচড়ে পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়। নির্যাতিতা তরুণী তাঁর বয়ানে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেই বয়ানের ভিত্তিতে পাঁচ অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় নির্যাতিতার সহপাঠীর ভূমিকা খতিয়ে দেখতে তাঁকে আটক করা হয়েছে।
নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, খবর পেয়ে ঘটনার দিন রাতেই দুর্গাপুরের কলেজে পৌঁছন তিনি। সেই সময় মেয়ের শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। এই মামলায় আগেই ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ধৃতদের রবিবার ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। সোমবার আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের সোমবার আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ৯ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। সোমবারই নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্টের তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে ইঙ্গিত মিলেছে, ওই ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, ‘রাত দশটার পর ফোন পেয়ে কলেজে পৌঁছাই। মেয়েকে ভয়ংকর অবস্থায় পাই। ওর শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছিল।’ ঘটনার রাতে যেই বন্ধুর সঙ্গে তরুণী বেরিয়েছিলেন, তাঁকে পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলে অন্তত পাঁচজন যুবক উপস্থিত ছিল। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। নির্যাতিতা এখনও দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
