দুর্যোগ বিধ্বস্ত মিরিকে পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্শিয়াংয়ের জোড়বাংলোয় বিডিও অফিসে পর্যালোচনা বৈঠক হওয়ার কথা। মঙ্গলবার রাতে দার্জিলিং রওনা দিতে পারেন তিনি। রিচমন্ড হিলে দুই জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। জিটিএ-র কাছ থেকে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট নিতে পারেন বলে খবর।
রবিবার বন্যা-বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গ পরিদর্শন এবং পুনর্গঠনের কাজ খতিয়ে দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সারাদিন নাগরাকাটা এলাকার বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা এবং ত্রাণশিবির পরিদর্শন করেন। নিজের হাতে ত্রাণ বিলি করেন। কয়েকটি পরিবারের সদস্যের হাতে হোমগার্ড চাকরির নিয়োগপত্রও তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
রবিবার বিকেলেই উত্তরবঙ্গে পৌঁছোন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলিপুরদুয়ারের হাসিমারা থেকে সুভাষিণী চা বাগানে গিয়ে জনসংযোগ সারেন। সাম্প্রতিক বিপর্যয়ে এই সুভাষিণী চা বাগানই সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছে। এরপর সোমবার দিনভর ত্রাণ কাজে তদারকি করার পর রাতে তিনি কার্শিয়ং চলে যান।
পর্যালোচনা বৈঠক ছাড়া আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র ভবানীপুরের বিজয়া সম্মিলনী। আলিপুরের ধন্যধান্যে প্রেক্ষাগৃহে হবে সেই অনুষ্ঠান। কার্শিয়ং থেকেই ভা্র্চুয়ালি বক্তব্য রাখবেন মমতা। বুধবার দার্জিলিংয়ের রিচমন্ড হিল থেকে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক। সাম্প্রতিক হড়পা বানে পাহাড়ের কতটা ক্ষতি হয়েছে, তা নিয়ে জিটি-এর রিপোর্ট দেওয়ার কথা। সূত্রের খবর ইতিমধ্যে সেই রিপোর্ট প্রস্তুত করে ফেলেছেন জিটিএ চেয়ারম্যান অনীত থাপা।