• সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণ! ৯ মাস পর যোগীরাজ্যে এনকাউন্টারে খতম ‘ধর্ষক’
    প্রতিদিন | ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ। গত ৯ মাস ধরে পালিয়ে বেড়ানোর পর অবশেষে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত্যু হল ‘ধর্ষকে’র। সোমবার মিরাটের সারুরপুর জঙ্গল এলাকায় চলে পুলিশের এই অভিযান। শাহজাদ নামে ওই অভিযুক্তের মাথার দাম ছিল ২৫ হাজার টাকা।

    বাহসুমার মহম্মদপুরের বাসিন্দা শাহজাদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, ডাকাতি, পকসোর মতো ৭টি ফৌজদারি মামলা ছিল। গত জানুয়ারি মাসে ওই এলাকায় ৭ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। একাধিক অপরাধে অভিযুক্ত এই ব্যক্তির খোঁজে দীর্ঘদিন ধরে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ২৫ হাজার টাকা। পুলিশকর্তা বিপিন টাডা বলেন, “শিশু ধর্ষণের ঘটনায় গত রবিবার নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে বন্দুক উচিয়ে হুমকি দেয় শাহজাদ ও তার সঙ্গীরা। গুলিও চালায়। এই খবর পেয়েই শাহজাদকে পাকড়াও করতে মাঠে নামে পুলিশ।”

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার মিরাটের সারুরপুর জঙ্গলে অভিযুক্ত লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। এই অবস্থায় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে শাহজাদ। পালটা গুলিতে মৃত্যু হয় তার। শাহজাদের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর তার পরিবার অভিযুক্তের দেহ নিতে অস্বীকার করেছে। মৃতের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ১৫ বছর আগে শাহজাদের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন তাঁরা। তাঁকে ‘দানব’ বলে উল্লেখ করে মৃতের পরিবার জানিয়েছে, ”পুলিশ একেবারে সঠিক কাজ করেছে।”

    এই নিয়ে উত্তরপ্রদেশে গত ৮ ঘণ্টার মধ্যে দুটি এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটল। এবং মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে ৭টি। উল্লেখ্য, গত ১০ অক্টোবর বরেলি পুলিশ ইফতিখার নামে এক অপরাধীকে গুলি করে হত্যা করে। যার মাথার দাম ছিল এক লক্ষ টাকা। তার আগে গত ৬ অক্টোবর সাহারানপুর পুলিশ গাগলহেদি এলাকায় ইমরান নামে এক অপরাধীকে মারাত্মকভাবে জখম করে। যার মাথার দাম ছিল ১ লক্ষ টাকা। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ওই একই দিনে ফিরোজাবাদে ৩ কোটি টাকা ডাকাতির মামলার প্রধান অভিযুক্ত নরেশ পণ্ডিতকেও পুলিশের গুলিতে হত্যা করে পুলিশ। তার আগে ২৮ সেপ্টেম্বর মুজাফফরনগরে নইম কুরেশি নামে এক অভিযুক্তকে গুলি করে হত্যা করে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)