সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধের নতুন দৃষ্টিকোণ স্থাপন করেছে অপারেশন সিঁদুর। এই অভিযান সামগ্রিকভাবে যুদ্ধের সময় নির্ধারণ এবং পরিকল্পনায় বদল এনেছে। শুধু তাই নয়, অপারেশন সিঁদুর পাকিস্তানের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসও ভেঙে দিয়েছে। সোমবার এই ভাষাতেই হুঙ্কার দিলেন সেনা সর্বাধিনায়ক অনিল চৌহান। তাঁর মতে, যুদ্ধে শুধুমাত্র সেনারাই লড়েনা। গোটা দেশ তাতে অংশগ্রহণ করে।
সোমবার মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়ারে একটি স্কুলের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সেনা সর্বাধিনায়ক। সেখানে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি বলেন, “অপারেশন সিঁদুরে ভারতীয় সেনা পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। তারপর এটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, আলোচনা এবং সন্ত্রাসবাদ কখনই একমঞ্চে থাকতে পারে না। ভারত পরমাণু হামলার হুমকিও বরদাস্ত করবে না।” তিনি আরও বলেন, “যুদ্ধের নতুন দৃষ্টিকোণ স্থাপন করেছে অপারেশন সিঁদুর। এই অভিযান সামগ্রিকভাবে যুদ্ধের সময় নির্ধারণ এবং পরিকল্পনায় বদল এনেছে। শুধু তাই নয়, অপারেশন সিঁদুর পাকিস্তানের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসও ভেঙে দিয়েছে। যুদ্ধ শুধুমাত্র সেনারাই লড়েনা। গোটা দেশ তাতে অংশগ্রহণ করে।” তাঁর বক্তব্য, “দেশের সেনা দেশকে নিরাপত্তা দেবে। অন্যদিকে, দেশগঠন করার দায়িত্ব সকল নাগরিকের।”
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ২৬ নিরস্ত্রকে হত্যা করে লস্করের ছায়া সংগঠন টিআরএফের চার জঙ্গি। তাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যায় কাশ্মীরের স্থানীয় এক জঙ্গি। এই হামলার জবাবে ৭ মে ভোর-রাতে অপারেশন চালায় ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গিঘাঁটি। এরপর ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির জনবহুল এলাকা এবং সেনাঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাকিস্তান। সেই হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি প্রত্যাঘাত করে ভারত। তাতেই তছনছ হয়ে যায় পাকিস্তানের অন্তত ১১টি একধিক বায়ু সেনাঘাঁটি। ভারতীয় সেনার অভিযানে নিহত হয় ১০০ জনের বেশি জঙ্গি ও ৩৫-৪০ জন পাক সেনা। শেষ পর্যন্ত ইসলামাবাদের আর্জিতে সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় নয়াদিল্লি।