• দুর্গাপুরে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার সহপাঠী, তার সঙ্গেই বেরিয়েছিলেন নির্যাতিতা
    আজ তক | ১৫ অক্টোবর ২০২৫
  • দুর্গাপুর ধর্ষণকাণ্ডে এবার গ্রেফতার সহপাঠী যুবক। শুক্রবার ওই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী তার সঙ্গেই বাইরে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা ছাত্রীকে ঘিরে ধরার পরই সেখান থেকে পালিয়ে আসে সহপাঠী। মঙ্গলবারই আসানসোল-দুর্গাপুরের কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী জানান, নির্যাতিতার সহপাঠীর ভূমিকাও সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। এই বক্তব্য সামনে আসার কিছুক্ষণ পরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। 

    কিন্তু কেন সহপাঠীকে গ্রেফতার করা হয়? পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর মেয়ে সহপাঠীর সঙ্গে যাওয়ার পরই ধর্ষণের ঘটনা। তাই সন্দেহ থেকেই যায়। তাই মূল মামলাতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার তাকে আদালতে পেশ করা হবে।  

    এই ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথম থেকেই সন্দেহের তালিকায় ছিল সহপাঠী। তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। কারণ, শুক্রবার দুজনে একসঙ্গে গেলেও সহপাঠী একাই ফিরে আসে। পরে সে আবার বেরিয়ে যায় হস্টেল থেকে। দুষ্কৃতীরা ছাত্রীকে ঘিরে ধরলেও সে পালিয়ে আসে তাকে একা ফেলে। তারপর পুলিশকেও খবর দেয়নি। এতে সন্দেহ আরও জোরালো হয় তদন্তকারীদের। 

    পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, CCTV ফুটেজে দেখা গেছে, শুক্রবার ৭ টা ৫৮ মিনিটে ছাত্রী ও সহপাঠী একসঙ্গে বের হয়। তারপর ৮ টা ৪২ এ সে একা ফিরে আসে। তারপর ফের সে বেরিয়ে যায়। ছাত্রীকে নিয়ে ফেরে রাত ৯.২৯ মিনিট নাগাদ। নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, শুক্রবার দুষ্কৃতীরা তাঁকে ঘিরে ধরা মাত্র সেখান থেকে চম্পট দেয় সহপাঠী। পুলিশের অনুমান, সেখান থেকে পালিয়ে এসে হস্টেলে ফিরে আসে যুবক। তারপর সে আবার যায় নির্যাতিতার কাছে। যেখানে ছাত্রীকে বাঁচানো উচিত ছিল বা সেখান থেকে পালিয়ে এসে বাকিদের বিষয়টা জানানো উচিত ছিল, সেই সব কিছুই করেনি সহপাঠী। 

    এদিকে সহপাঠীর গ্রেফতারের জেরে সেই সংখ্যা হল ৬। মঙ্গলবারই দুর্গাপুর গণধর্ষণ কাণ্ডের পুনর্নির্মাণ করে পুলিশ। অভিযুক্তদের নিয়ে যাওয়া হয় ঘটনাস্থলে। ধৃতদের মধ্যে দু'জনকে তাদের বাড়িও নিয়ে যান তদন্তকারী আধিকারিকরা। দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি পূর্ব অভিষেক গুপ্তা জানান, পাঁচজন অভিযুক্ত ও নির্যাতিতার পোশাক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷ পুনর্নির্মাণের ভিডিয়োগ্রাফি হয়েছে ৷
  • Link to this news (আজ তক)