প্রবীর চক্রবর্তী: ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর থেকে তৃণমূলের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, ঘোষণা করলেন সুব্রত বক্সি।
মূল বিষয়:
রাজ্য তৃণমূল সভাপতি সুব্রত বক্সি (TMC State General Secretary) জানিয়ে দিয়েছেন যে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুরের (Bhowanipur Assembly) তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী (TMC candidate) হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Bandyopadhyay)। তিনি দলের কর্মীদের নিজেদের মধ্যে সমস্ত রকম বিবাদ মিটিয়ে ফেলে নির্বাচনের প্রস্তুতিতে নেমে পড়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (ববি) এই কেন্দ্র থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এক লক্ষেরও বেশি ভোটে জেতানোর ডাক দিয়েছেন। তিনি কর্মীদের কোনো ভয় না পেয়ে আজ থেকেই ভোটের প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন। তার কথায়, বিজেপিকে এতটাই কম আসনে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে (৩০ এর নিচে) যাতে তারা বিরোধী দলনেতার পদও (LOP) না পায়।
বিধায়ক মদন মিত্রও এই ঘোষণায় সমর্থন করেছেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, আগামী বিধানসভা ভোটে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় দাঁড়াবেন। দলের নেতারা কর্মীদের নিজেদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি বন্ধ করে দিয়ে এখন থেকেই ভোটের কাজে লেগে পড়তে বলেছেন। ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, মমতা ব্যানার্জীকে এক লাখের বেশি ভোটে জেতাতে হবে এবং বিজেপিকে হারাতে হবে যাতে তারা বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার পদও না পায়।
উল্লেখ্য যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন। সেই অনুযায়ী, তাঁর পরিচিত কেন্দ্র ভবানীপুরে প্রার্থী হয়েছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় নন্দীগ্রাম আসনে পরাজিত হন। মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার জন্য তাঁর বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হওয়া সাংবিধানিকভাবে জরুরি ছিল।
এই পরিস্থিতিতে, ভবানীপুর কেন্দ্রে জয়লাভ করার পর বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করেন। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সেই শূন্য আসনে উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং জয়ী হয়ে ছয় মাসের মধ্যে আবার ভবানীপুরের বিধায়ক হন।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য:
পুজোর পরেই একটা বিপর্যয় ঘটেছে, যার জন্য আমি সবাইকে 'শুভ বিজয়া' -ও বলতে পারিনি। ভবানীপুর আমার নিজের কেন্দ্র। এখানকার কর্মীরাই আমাদের আসল শক্তি, যদিও তারা হয়ত বড় নেতা নয়। যদি কেউ নিজেকে খুব বড় নেতা বা 'স্যার' মনে করে, তবে সেটাও দেখতে হবে।
ভবানীপুর নিয়ে উদ্বেগ:
একটা পরিকল্পনা করে ভবানীপুরকে বাইরের লোক দিয়ে ভর্তি করে দেওয়া হচ্ছে। গরিবদের বস্তি ভেঙে সেখানে বড় বড় বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। এই বিষয়গুলোর উপর নজর রাখতে হবে।
সামনের উৎসব নিয়ে বার্তা:
সামনে কালীপুজো এবং তারপর ছটপুজো আসছে। এই উৎসবগুলো যাতে শান্তিপূর্ণভাবে এবং কোনো সমস্যা ছাড়াই সম্পন্ন হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। এই সমস্ত কিছু দেখাশোনা করার দায়িত্ব আমাদেরই।