সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্ষমতার মোহ। চেয়ারের টান। বড় বড় ভিভিআইপিকেও রাস্তায় নামিয়ে আনে। যেমনটা নামলেন বিহারের জেডিইউ বিধায়ক গোপাল মণ্ডল। সাতসকালে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে গিয়ে ধরনায় বসে পড়লেন তিনি। মনে হতে পারে, বিধায়ক নিশ্চয়ই আমজনতার দাবিদাওয়া নিয়ে ধরনা দিচ্ছেন। আজ্ঞে না, তিনি ধরনা দিচ্ছেন নিজের জন্য। দলের টিকিটের জন্য। যেভাবেই হোক মহার্ঘ্য টিকিট আদায় করতেই হবে।
গোপাল মণ্ডল ভাগলপুরের জেলার এক কেন্দ্রের বিধায়ক। এবারও যে টিকিট পাবেন, নিশ্চিত নন। শোনা যাচ্ছে, তাঁর টিকিট না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আসলে নীতীশ কুমার অসুস্থ হওয়ায় অনেক সিদ্ধান্তই তিনি নিজে নিচ্ছেন না। বিশেষ করে প্রার্থী নির্ধারণে অনেক ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিলমোহর দিচ্ছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী, বা আমলারা। অন্তত বিরোধী শিবিরের এমনটাই অভিযোগ। জেডিইউয়ের অন্দরে জল্পনা, নীতীশ নিজে সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় অনেক পুরনো নেতাই বাদ পড়তে পারেন।
গোপাল মণ্ডল এমনিতেই বিতর্কিত। মাঝে মাঝে আলটপকা মন্তব্য করেন। শোনা যাচ্ছিল এবার টিকিট পাবেন না। কিন্তু তিনি নাছোড়বান্দা। মঙ্গলবার সাতসকালে নীতীশ কুমারের বাড়ির সামনে গিয়ে ধরনায় বসে যান। দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে দিতে হবে। দেখা হলে দলের টিকিট নিয়ে তবে তিনি নড়বেন। নাহলে ধরনা চলবে। দিনভর সেই ধরনা চলেও। যদিও শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ দেখা করেননি দলের বিধায়কের সঙ্গে। পুলিশ একপ্রকার জোর করে তাঁকে সেখান থেকে উঠিয়ে দেন।
রবিবার বিহারে আসনরফা চূড়ান্ত করেছে এনডিএ। আসন বণ্টনের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দাবিকে সম্মানজনকভাবে খারিজ করেছে গেরুয়া শিবির। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ও জেডিইউ সমান সংখ্যক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। দুই দলই ১০১টি করে আসনে প্রার্থী দেবে। রবিবার এমনটাই ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। ১০১টি করে আসনে লড়বে বিজেপি এবং জেডিইউ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপি পাবে ২৯টি আসন। এছাড়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতনরাম হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা লড়বে ৬টি আসনে। রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চাও একই সংখ্যক আসনে প্রার্থী দেবে।