• বয়ানে অসঙ্গতি! দুর্গাপুর ‘গণধর্ষণ’ কাণ্ডে গ্রেপ্তার তরুণীর সহপাঠী, ধৃত বেড়ে ৬
    প্রতিদিন | ১৫ অক্টোবর ২০২৫
  • সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: লাগাতার জেরা। বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি। দুর্গাপুর বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে গণধর্ষণ কাণ্ডে গ্রেপ্তার নির্যাতিতার সহপাঠী। মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্গাপুর পুলিশ। বান্ধবীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করার অভিযোগেই গ্রেপ্তার করা হয়ছে সহপাঠীকে। এই বিষয়টি প্রথম থেকেই পুলিশের কাছে গোপন করেছিলো ওই সহপাঠি।এই নিয়ে ধৃত বেড়ে ৬।

    গণধর্ষণের অভিযোগের তদন্তে নেমে নির্যাতিতার সহপাঠীকে আটক করে পুলিশ। যুবককে তাঁকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। তদন্তকারী সূত্রে জানা যায়, মালদার এই বাসিন্দা যুবক তদন্তে সহযোগিতা করলেও মাঝেমধ্যেই পুলিশকে ‘মিসগাইড’ করছিল। যুবকই অভিযুক্তদের শনাক্ত করেছে। কিন্তু অভিযুক্ত ও সহপাঠীর বয়ানে বিস্তর ফারাক রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। আরও খবর, সহপাঠী ও ধৃত পাঁচ অভিযুক্তকে সোমবার রাতে সামনাসামনি বসিয়ে জেরা করা হলেও সেখানেও তাঁদের বয়ানে অসঙ্গতি দেখা যায়। যার ফলে তদন্তের অগ্রগতি থমকে যাচ্ছিল। এরপরই মঙ্গলবার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হল।

    সহপাঠীর ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল শুরুতেই। যার ফলে তদন্তের অগ্রগতি থমকে যাচ্ছিল। গত শুক্রবার রাতে দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ। ঘটনার দিন সহপাঠীর সঙ্গেই নির্যাতিতা কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে বের হন। যুবক কেন রাতে জনমানবহীন জঙ্গল ঘেরা রাস্তায় বান্ধবীকে নিয়ে গিয়েছিলেন? তাঁর সামনেই দুষ্কৃতীরা নির্যাতিতাকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে গেলেও যুবক কেন চুপ ছিল? কেন নির্যাতিতাকে দুষ্কৃতীদের হাতে ছেড়ে তিনি পালিয়ে আসেন? যুবক ফিরে এলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কিংবা নিরাপত্তারক্ষীদের এই ব্যাপারে কেন কিছুই বলেননি?

    উঠে আসে একাধিক প্রশ্ন। প্রায় এক ঘণ্টার পর নির্যাতিতা ফোন করে ডাকে তাঁর ওই সহপাঠীকে। তারপর নির্যাতিতাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হস্টেলে নিয়ে আসেন যুবক। পুরো ঘটনাটাই বিস্মিত করেছে পুলিশকে। ঘটনার পুনর্নির্মাণেও এক অভিযুক্ত ও সহপাঠীর বয়ানে ফাঁক রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তারপরই ঘটনার পর থেকে আটক যুবককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
  • Link to this news (প্রতিদিন)