রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে, দুর্ঘটনায় নাকি মারা গেছেন সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী! ময়নাতদন্তের পরেই যুবকের কীর্তি ফাঁস
আজকাল | ১৫ অক্টোবর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: চার মাস আগে বিয়ে। সুখের সংসারে আচমকা ঝড়। বিমার টাকার লোভে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন যুবকের। তবে বিষয়টি এমনভাবে সাজিয়েছিলেন, যা দেখে মনে হয়েছিল দুর্ঘটনায় স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরেই যুবকের কুকীর্তি ফাঁস হয়েছে পুলিশের কাছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডে। মঙ্গলবার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে হাজারিবাগ জেলায়। সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে ৩০ বছর বয়সি এক যুবকের বিরুদ্ধে। বিমার টাকা পাওয়ার জন্য স্ত্রীকে খুন করেন যুবক। কিন্তু ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশকে জানায়, দুর্ঘটনার জেরেই সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার পরেই অভিযুক্ত মুকেশ কুমার মেহতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ২৩ বছরের তরুণীর নাম, সেবন্তী কুমারী। চার মাস আগেই তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মুকেশের। ৯ অক্টোবর সেবন্তীকে খুন করেন মুকেশ। হত্যাকাণ্ডের পর সকলে জানান, দুর্ঘটনায় স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। বিমার ৩০ লক্ষ টাকা পাওয়ার জন্যেই স্ত্রীকে খুন করেন মুকেশ।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ৯ অক্টোবর রাতে পথচলতি কয়েকজন মানুষ পুলিশে খবর দেন, ৩৩ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে পদ্ম - ইটখোরি সড়কে এক দম্পতি রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে আছেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দম্পতিকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। ততক্ষণে অচৈতন্য থাকার নাটক করেছিল মুকেশ।
হাসপাতালে পৌঁছনোর পরে তরুণীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে আহত অবস্থায় মুকেশ হাসপাতালে ভর্তি হন। যে আঘাতগুলি নিজেকেই করেছিলেন তিনি। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর জানা যায়, দুর্ঘটনা নয়, তরুণীকে খুন করা হয়েছিল। মুকেশকে দীর্ঘ জেরার পর আসল ঘটনা ফাঁস হয়। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন অভিযুক্ত যুবক।
প্রসঙ্গত , দিন কয়েক আগে আরও এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। মাত্র চার মাস আগে বিয়ে। কয়েক সপ্তাহ পর থেকেই শুরু আরও পণের দাবি। পণের দাবি না মেটায় চরম পদক্ষেপ করলেন এক যুবক। নিজের সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন করলেন। এরপর বাড়িতেই বিছানার তলায় স্ত্রীর নিথর দেহ লুকিয়ে রেখে পালিয়ে যান। শেষমেশ ফাঁস হল তাঁর কীর্তি।
সর্ডবভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চার মাস আগেই দম্পতি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল। সম্প্রতি স্ত্রীকে খুন করেন যুবক। এরপর মৃতদেহটি নিজদের বাড়িতেই বিছানার তলায় লুকিয়ে রেখে পালিয়ে যান।
খুনের দিন বাড়িতে ছিলেন না আকাশ কাম্বারের মা। আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পর বিছানার তলা থেকে ২০ বছর বয়সি সাক্ষী কাম্বারের দেহ দেখতে পান। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, তিনদিন আগে তরুণীকে খুন করেন আকাশ। পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে তাঁর ফোন বন্ধ রয়েছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, অভিযুক্ত আকাশের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। কী কারণে সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীকে খুন করেছেন তা এখনও জানা যায়নি। তবে সাক্ষীর পরিবারের দাবি, আরও পণের দাবিতে তরুণীকে খুন করেছেন আকাশ। বিয়ের পর থেকেই পণ নিয়ে ঝামেলা চলছিল। সেই বচসার জেরেই চরম পদক্ষেপ করেছেন তিনি।