দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত, ইডির অভিযান নিয়ে প্রশ্ন কোর্টের
বর্তমান | ১৫ অক্টোবর ২০২৫
নয়াদিল্লি: তামিলনাড়ুতে মদ নিয়ামক সংস্থা টিএএসএমএসির দপ্তরে গত মার্চে অভিযান চালিয়েছিল ইডি। এই অভিযানকে বেআইনি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে তামিলনাড়ু সরকার। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে ইডিকে কার্যত তুলোধোনা করল শীর্ষ আদালত। এই অভিযানকে কার্যত যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর আঘাত আখ্যা দিয়েছে প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। এদিন ইডির হয়ে মামলার সওয়ালকারী আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো প্রসঙ্গে কী বলবেন? রাজ্য সরকারের তদন্ত করার অধিকার কি আপনারা কেড়ে নিচ্ছেন না? রাজ্য সরকারের যথাযথ তদন্ত নিয়ে যখনই আপনাদের সন্দেহ হবে, তখনই কি আপনারা এভাবে অভিযান চালাবেন?’ টিএএসএমএসির দপ্তরে অভিযান ঘিরে গত ছ’মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সুপ্রিম কোর্টের সমালোচনার মুখে পড়ল ইডি। এর আগে মে মাসে শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি গাভাই ইডির উদ্দেশে বলেছিলেন, আপনারা সব সীমা অতিক্রম করে গিয়েছেন।
এদিন তামিলনাড়ু সরকারের হয়ে সওয়াল করেন প্রবীণ দুই আইনজীবী কপিল সিবাল এবং মুকুল রোহতগি। কীভাবে রাজ্যের একটি সংস্থায় ইডি অভিযান চালাল, সেই প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। পুলিশের কাছে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কীভাবে ইডি সংস্থার কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করল, সেই প্রসঙ্গ তোলেন সিবাল। তিনি আরও বলেন, ‘টিএএসএমএসি কর্মীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কেন লঙ্ঘন করা হল? তাঁদের মোবাইল কেন কেড়ে নেওয়া হল? মহিলা কর্মীদের কেন আটকে রাখা হল?’ এত সব প্রশ্নের উত্তের কার্যত দিশাহারা দেখায় ইডির হয়ে মামলার সওয়ালকারী অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু। তিনি যুক্তি দেন, রাজ্যের কোনও সংস্থা দুর্নীতিতে যুক্ত হলে ইডি তদন্ত করতেই পারে। তাঁর কথায়, ‘এই দুর্নীতি নিয়ে পুলিশের কাছে ৪৭টি মামলা দায়ের হয়েছে। ইডি কেবল অর্থ তছরুপ নিয়েই তদন্ত করছে। তদন্ত করতে গিয়ে আরও নথি সামনে এসেছে।’ তখন সিবাল বলেন, ‘তদন্ত করতে গিয়ে নতুন কোনও তথ্য সামনে এলে তা সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী সংস্থাকে জানাতে হয়।’