• বয়কট বিরোধীদের, অমিত শাহের বিলে যৌথ কমিটি গড়তেই পারছে না সরকার, ৩০ দিন হেফাজতে থাকলেই পদচ্যুত মন্ত্রীরা
    বর্তমান | ১৫ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: প্রায় দু মাস হতে চলল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর পেশ করা বিলের পর্যালোচনায় যৌথ সংসদীয় কমিটিই তৈরি হল না। যা নিয়ে লোকসভার সচিবালয় আর মন্ত্রকের মধ্যে টানাপোড়েনও শুরু হয়েছে। গত ২০ আগস্ট লোকসভায় পেশ হয় ১৩০ তম সংবিধান সংশোধন বিল। যে সংশোধনে গুরুতর অপরাধের অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা কোনও মন্ত্রী একটানা ৩০ দিন হেফাজতে থাকলেই পদচ্যূত করা হবে। দোষ প্রমাণ হোক বা নাই হোক। মূলত বিজেপি বিরোধী রাজ্যকে বিপদে ফেলতেই অমিত শাহ এই বিল এনেছেন বলেই বিরোধীদের অভিযোগ। তাই ঩বিল পেশের সময়ই প্রবল বিরোধিতা হয়। চাপে পড়ে বিলটি সংসদীয় যৌথ কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু বিরোধীদের সিদ্ধান্তে রীতিমতো চাপে সরকার।

    কিন্তু প্রায় দু’ মাস পরেও ৩১ সদস্যের কমিটিই তৈরি করে উঠতে পারলেন না লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। কমিটিতে লোকসভার ২১ জন এবং রাজ্যসভার ১০ সদস্য থাকবেন। গত ২৩ আগস্ট তৃণমূল সর্বাগ্রে জানিয়ে দেয়, তারা এই কমিটিতে কাউকে পাঠাবে না। সেই পথ অনুসরণ করে অখিলেশ যাদবের দল সমাজবাদী পার্টি, উদ্ধবপন্থী শিবসেনা, আম আদমি পার্টি, আরজেডির মতো বিজেপি বিরোধীরা। চাপ বাড়তে থাকে সরকারের।

    কংগ্রেস এতদিন ছিল দোটানায়। দলের মুখ্য মুখপাত্র জয়রাম রমেশ জানিয়েছিলেন, ‘কংগ্রেস সাংসদের একাংশ চাইছে কমিটিতে যোগ না দিতে। আবার অন্য অংশের মত, ওয়াকফ বিলের মতোই কমিটিতে যোগ দিয়ে সরকারের বিরোধিতা করা হোক। বিরোধিতার বক্তব্য কমিটি রিপোর্টে লিপিবদ্ধ হোক।’ যদিও শেষমেশ তৃণমূলের দেখানো পথেই হাঁটল কংগ্রেস। তারাও ঠিক করেছে সংসদীয় ওই যৌথ কমিটিতে কাউকে পাঠাবে না। বিষয়টি কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়কমন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে হিসেব করলে প্রায় তিনশো সাংসদের বিরোধী জোটের কোনও জনপ্রতিনিধিই থাকবে না সংসদীয় যৌথ কমিটিতে।

    ফলে বিরোধীদের এই বয়কটের সিদ্ধান্তে সরকার চাপে পড়েছে। কাদের নিয়ে হবে কমিটি? ভেবে উঠতে পারছে না। পরিস্থিতি যা তাতে সরকার পক্ষের সাংসদদের নিয়েই ৩১ সদস্যের সংসদীয় যৌথ কমিটি তৈরি করতে হতে পারে। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, লোকদেখানো এইসব কমিটিতে সরকার পক্ষ তো বিরোধীদের কোনও কথাই শুনতে চায় না। তাই যে মোদি-শাহ গণতন্ত্রকে গলা টিপে মারছেন, তাঁদের কমিটিতে কেন যাব? তাই কমিটি বয়কট। ইন্ডিয়া জোট ফের একজোট। দেখি কাদের নিয়ে কমিটি গড়েন ওম বিড়লা। 
  • Link to this news (বর্তমান)