• ফোটোশ্যুটের রাজনীতি নয়, বিপর্যয়ে পাশে থাকি: মমতা
    বর্তমান | ১৫ অক্টোবর ২০২৫
  • সুব্রত ধর, জোড়বাংলো সুখিয়াপোখরি: বিপর্যয়ের ৪৮ ঘণ্টা পর পাহাড়ে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ‘দূত’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু, সাংসদ রাজু বিস্তা, সঙ্গে বিরোধী দলনেতা। ডুয়ার্সের দুর্গত এলাকায় আনাগোনা থাকলেও দার্জিলিংয়ে কিন্তু তারপর আর পদ্ম শিবিরের কারও খুব একটা দেখা মেলেনি। এই প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার জোড়বাংলো সুখিয়াপোখরিতে নাম না করে পদ্ম শিবিরের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষবাণ—‘ফোটোশ্যুটের রাজনীতি করতে নয়, বিপর্যস্ত মানুষের পাশে থাকি, তাঁদের পাশে থাকতেই এসেছি। একবার এসে পালিয়ে যাই না। মানুষের পাশে থাকতে দুর্গত এলাকায় বারবার আসছি, আসবও।’ প্রাকৃতিক বিপর্যয় পর্বে মৃতদের মধ্যে চারজনের পরিবারের হাতে সুখিয়াপোখরির শিবির থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে পাহাড়ের বিভিন্ন অংশে বিপর্যয়ে মৃত ১০ জনের পরিবারের একজন করে সদস্যকে স্পেশাল হোমগার্ডের নিয়োগপত্র তুলে দেন তিনি। আজ, বুধবার দার্জিলিং শহরে জিটিএর সদর দপ্তর লালকুঠিতে পাহাড়ের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করবেন মমতা। বিপর্যয়ের পর এই নিয়ে দ্বিতীয় দফার সফরে রবিবার পাহাড়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই পর্বে বিপর্যয় বিধ্বস্ত এলাকা পুনর্গঠনকেই ‘পাখির চোখ’ করেছেন তিনি।  

    জোড়বাংলো সুখিয়াপোখরিতে দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিলির পর এদিন মমতা বলেন, ‘এটা রাজনীতির সময় নয়। কিন্তু দুভার্গ্যজনক, এই সময়েও অনেকে রাজনীতি করছেন। আমি ফোটোশ্যুটের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই, বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত এলাকার মানুষের পাশে থাকার নীতিতে বিশ্বাস করি, সেটাই আঁকড়ে থাকি। একবার ত্রাণ দিয়ে পালিয়ে গেলাম, তা নয়। দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে বারবার আসছি বিপর্যস্ত এলাকায়। এটা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।’

    বিজেপির বিরুদ্ধে এদিন সুর সপ্তমে তোলেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘রাজনীতি নিয়ে কারবার চলছে। অনেকে কিছুই করছে না, শুধু মানুষকে হতাশ করছে। বিপর্যয়ের পরের দিনই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও মেয়র গৌতম দেবকে ময়নাগুড়ি ও ধূপগুড়ির দুর্গত এলাকায় পাঠিয়ে ছিলাম। অরূপের ফোন থেকে ত্রাণ শিবিরে থাকা দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেছি। সেই ত্রাণ শিবিরে এখন কেউ নেই। আমি খোঁজ নিয়েছি। কেউ কেউ অপপ্রচার করছে। টাকা খেয়ে বিজেপির কথা বলছে।’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ধস আমরা সরাচ্ছি। রাস্তা, সেতু, বাড়ি মেরামত করছি। দুর্যোগ বিধস্ত গ্রাম পুনর্গঠন করছি। বিপর্যয়ের অল্প সময়ের মধ্যে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর একজোট হয়ে পাহাড়ের সিংহভাগ রাস্তা থেকে ধস সরিয়েছে। এটা আমাদের সরকারই পারে। অন্য কেউ পারবে না। আমাদের পুলিশ অনেকের প্রাণ বাঁচিয়েছে। এখানে কেন্দ্রের কোনও ভূমিকা নেই। তারা এখন পর্যন্ত কোনও সহায়তা করেনি।’
  • Link to this news (বর্তমান)