• বিপর্যয় বিধ্বস্ত পাহাড়ে ঘুরলেন মমতা, শুনলেন দুর্গতদের কথা
    বর্তমান | ১৫ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দার্জিলিং: গ্রাউন্ড জিরো। কার্শিয়াং থেকে মিরিক। ধসে চাপাপড়া বাড়ি থেকে ত্রাণ শিবির। মঙ্গলবার এভাবেই বিপর্যয় বিধ্বস্ত পাহাড় চষে বেড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন, ত্রাণবিলি করেন। খুদেদের মধ্যে চকোলেট, আঁকার খাতা ও পেনসিল বিলি করেন। 

    বিপর্যয় বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গ পুনর্গঠনে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দ্বিতীয় দফার সফর শুরু করেন গত রবিবার। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি পরিদর্শন করে সোমবার কার্শিয়াংয়ে আসেন। মঙ্গলবার তিনি দিনভর দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন। সুখিয়াপোখরি থেকে মিরিক লেক। পাহাড়ি পথ। পাইন, সেগুনের বাগান। মাঝেমধ্যে চা বাগান। পাহাড়ের গা থেকে মাটি ধসে পড়ার চিহ্ন বিদ্যমান। বেশকিছু জায়গায় রাস্তার পাশে বোল্ডারের স্তূপ। ক্ষত মেরামতির কাজ চলছে। সেই রাস্তা ধরেই নেপাল সীমান্তবর্তী পশুপতি ফটকে পৌঁছন মমতা। প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এগিয়ে যান মিরিকের দিকে। 

    বেলা আড়াইটে নাগাদ পৌঁছন মিরিক লেকের কাছে। পাশেই ধসে চাপাপড়া তিনতলা বাড়ি। সেই বাড়িতে মৃত্যু হয় বাবা, মা ও মেয়ের। বাড়িতে এসে মৃতদের আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করেন মমতা। সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি তাঁদের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব, জিটিএ’র চিফ এগজিকিউটিভ অনীত থাপা। 

    সেখান থেকে মিরিক শহরে ত্রাণ শিবিরে আসেন মমতা। এখন এই শিবিরে ১১০ জন দুর্গত রয়েছেন। এখানেই নিজেদের আঁকা ছবি ও ফুল দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানায় দুর্গতদের ছেলে-মেয়েরা। শিশুদের হাতে পেন্সিল, ড্রয়িংবুক, খেলনা, চকোলেট বিতরণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘তোমাদের ছবি আঁকা, পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। তোমাদের সবরকমভাবে সহযোগিতা করব আমরা।’ 

    সংশ্লিষ্ট শিবিরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, প্রয়োজনীয় নথি তৈরি করার স্টল রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী দুর্গতদের উদ্দেশে বলেন, বিপর্যয়ে হারিয়ে যাওয়া নথি নিয়ে ভাববেন না। এই ক্যাম্পে আবেদন করলেই তা মিলবে। কয়েকজন দুর্গত বলেন, এভাবে আগে কাউকে ত্রাণ শিবিরে ছুটে আসতে দেখিনি। দিদির (মুখ্যমন্ত্রী) ভূমিকা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। সেখান থেকে জোড়বাংলো সুখিয়াপোখরি ব্লকে ফিরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বিডিও অফিসের ক্যাম্পে যোগ দেন। দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিলি করেন। 
  • Link to this news (বর্তমান)