প্রায় ১০০ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কারে সাজানো হয় কালী মা’কে। এরপর রীতি অনুযায়ী রাত বারোটার পর শুরু হয় পুজো। ময়নাগুড়িতে বহু পুরাতন পুজো হিসেবে পরিচিত শহরের এই ময়নামাতা কালীবাড়ির বাৎসরিক কালীপুজো। প্রতিবছর পুজোতে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়। পুজোর দিন রাতে প্রায় ৫০০ জন ভক্ত অঞ্জলি দেন। পরের দিন ভক্তদের মধ্যে ভোগ বিতরণ করা হয়। কালীবাড়ির ট্রাস্টি বোর্ডের পরিচালনায় এই পুজো হয়ে আসছে।
বর্তমানে কালীবাড়ি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন চন্দন ঘোষ। কোষাধ্যক্ষ সুকুমার সাহা। মাকে যে গয়না পরানো হয় সেটা পুজোর ক’দিন থাকে। পুজো শেষ হয়ে গেলে সেই গয়না লকারে রেখে দেওয়া হয়। ফের পরের বছর স্বর্ণালঙ্কারগুলি বের করা হয়। প্রতিবছর ময়নাগুড়ি বাজারের এই পুজোর জন্য ভক্তরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন। ময়নাগুড়ি ব্লকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয় মন্দিরে। শনি ও মঙ্গলবার, অমাবস্যা ও পূর্ণিমাতে এখানে খিচুড়ি ভোগ হয়। অন্যান্য দিনগুলিতেও অন্নভোগ দেওয়া হয়। এখানকার মা অত্যন্ত জাগ্রত।
ট্রাস্টি বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ সুকুমার সাহা, ময়নাগুড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুমিত সাহা বলেন, কথিত আছে ভুটান থেকে এক মহিলা ময়নাগুড়ি চলে এসেছিলেন। বর্তমানে যেখানে পুজো হয় সেখানে ওই মহিলাই মা’র আরাধনা করতেন। সেই সময় ওই মহিলাকে স্থানীয়রা ময়না মা বলে ডাকতেন। তাঁর আরাধনার মধ্য দিয়েই শুরু হয় এখানকার কালীপুজো। সেই মহিলাকে যেহেতু ময়না মা বলে ডাকা হতো, সেই নাম থেকেই কালীবাড়ির নামকরণ করা হয় ময়নামাতা।