শহর আবর্জনামুক্ত রাখতে কালীপুজোর আগে অভিযানে নামবে সিউড়ি পুরসভা
বর্তমান | ১৫ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদদাতা, সিউড়ি: একেই বলে উলু বনে মুক্ত ছড়ানো। পুরসভা শহরকে আবর্জনামুক্ত রাখতে শহরের জায়গায় জায়গায় আবর্জনা ফেলার ডাস্টবিন বসিয়েছে। বর্জ্য ফেলার জন্য বাড়ি, বাড়ি বিলিও হয়েছে নীল, সবুজ বালতি। অথচ কে শোনে কার কথা! অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেই ডাস্টবিন ব্যবহার হচ্ছে না। এমনই ছবি সিউড়ি পুর এলাকার। তাই শহরকে আবর্জনামুক্ত রাখতে কালীপুজোর আগেই অভিযানে নামতে চলেছে পুরসভা। এই নিয়ে দুর্গাপুজোর আগে পুরসভার আধিকারিকদের মধ্যে একটি বৈঠকও হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, সিউড়ি শহরে ময়লা, আবর্জনা ফেলা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। নর্দমার মধ্যে আবর্জনা ফেলা, ডাস্টবিন ব্যবহার না করা সহ বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। সমাধানের জন্য শহরের জায়গায়, জায়গায় ডাস্টবিনও দিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, সিউড়ি শহরে প্রায় ২০০টি বড় ডাস্টবিন বসানো রয়েছে। মূলত শহরের বাসস্ট্যাণ্ড, এসপি মোড় সহ নানান গুরুত্বপূর্ণ জায়গার রাস্তার পাশেই এই ডাস্টবিনগুলি রয়েছে। এছাড়া আবর্জনা ফেলার জন্য সংশ্লিষ্ট জায়গাও করা আছে। অথচ দোকানিদের একাংশ সেই ডাস্টবিন ব্যবহার করেন না বলে অভিযোগ।
পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, শহরজুড়ে নানান দোকান রয়েছে। বিশেষ করে ছোট - বড় দোকান, রাস্তার পাশে অস্থায়ী খাবারের দোকানগুলির একাংশ দিনের যাবতীয় আবর্জনা আশপাশের কোনও নর্দমায় ফেলে দেয়। অথচ ডাস্টবিন ব্যবহার করে না। ফলে নোংরা হচ্ছেশহর। এছাড়া, শহরের বাড়ি বাড়ি নীল ও সবুজ বালতি বিলি করা হয়েছে। মূলত, পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য পদার্থ পৃথকীকরণের জন্য এই বালতিগুলি বিলি করা হয়েছে। সবুজ বালতিতে পচনশীল বর্জ্য এবং নীল বালতিতে অপচনশীল বর্জ্য পদার্থ রাখার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু অনেক জায়গায় দেখা যাচ্ছে পৃথকীকরণ তো দূরস্ত, বালতিগুলিই কেউ ব্যবহার করছেন না। পরিবর্তে বালতিগুলি বাড়িতে জল রাখার কাজে কিংবা অন্যকোনও কাজে ব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ। শহরবাসীর অনেকেরই দাবি, এমনেই ফুটপাত দখল করে রয়েছে দোকানপাট। তাই একাধিক জায়াগায় নর্দমা পরিষ্কার করতে বেগ পেতে হয় পুরসভার কর্মীদের। এর উপর নর্দমায় আবর্জনা ফেলার জন্য জটিলতা বাড়ছে।
পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, দীপাবলির আগেই শহর আবর্জনামুক্ত করতে অভিযানহবে। প্রথমে শহরের ব্যবসায়ীক স্থানগুলিতে অভিযান চালানো হবে। কোথাও আবর্জনা ডাস্টবিনে না ফেলে রাস্তায় কিংবা নর্দমায় ফেলা হলে জরিমানা করা হবে। তারপর প্রতি ওয়ার্ডে, ওয়ার্ডে চলবেঅভিযান।
পুরসভার চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন, শহরকে আবর্জনামুক্ত করে তুলতে মানুষকে সচেতন হতে হবে। তাই আমরা দীপাবলির আগেই কড়া পদক্ষেপ করব। আইন অনুসারে মোটা টাকার জরিমানা করা যায়। তবে প্রথমে আমরা কম টাকা জরিমানা করব এবং মানুষকে সচেতন করব। এছাড়া শহরবাসীর অনেকে পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য একসঙ্গে ফেলছে। তাতেও সমস্যা হচ্ছে। আমরা সেই নিয়েও ব্যবস্থা নেব।