ধর্মতলা থেকে এক্সাইড মোড় পর্যন্ত ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালা সংস্কারে বরাদ্দ সাড়ে ৫৭ কোটি
বর্তমান | ১৫ অক্টোবর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ব্রিটিশ যুগের ভূগর্ভস্থ ইটের নিকাশি নালা। সেখান থেকে নিয়মিত ডিসিল্টিং বা পলি তোলা হলেও গোটা নিকাশি নালা পুরোপুরি পলি শূন্য করা যায়নি কোনওদিন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালা কালের নিয়মে জল ধারণ ক্ষমতা হারিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ভেঙেও গিয়েছে। তাই এবার ধর্মতলায় লেনিন সরণির মুখ অর্থাৎ কে সি দাসের মোড় থেকে চৌরঙ্গি হয়ে এক্সাইড মোড় পর্যন্ত ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালা থেকে পলি তোলা এবং গোটা নালা জিআরপি লাইনারে মুড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যার জন্য বরাদ্দ হয়েছে সাড়ে ৫৭ কোটি টাকারও বেশি।
ধর্মতলায় লেনিন সরণি এবং বেন্টিংক স্ট্রিটের সংযোগস্থল থেকে পার্ক স্ট্রিট পর্যন্ত চলে গিয়েছে জওহরলাল নেহরু রোড। তারপর পার্ক স্ট্রিট থেকে এ জে সি বোস রোড পর্যন্ত রয়েছে চৌরঙ্গি রোড। সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার থেকে ছ’কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তার নীচে রয়েছে ব্রিটিশ আমলের তৈরি ইটের নিকাশি নালা। এটি অনেকটা ডিমের আকারের। সাম্প্রতিক সময়ে একটু ভারী বৃষ্টি হলেই ধর্মতলা চত্বর থেকে পার্ক স্ট্রিট মোড় সহ গোটা এলাকা জলমগ্ন হয়ে যায়। কখনও কখনও প্রায় হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়ে যায়। এই অবস্থায় এই গোটা পথের ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালা পলি শূন্য করা সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই কাজের দায়িত্বে রয়েছে পুরসভার প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগ। এক বিভাগীয় আধিকারিক বলেন, এই পুরনো নিকাশি পথ অনেক জায়গায় ভেঙে গিয়েছে। তাই গোটা নালা ডিসিল্টিং করার পাশাপাশি জিআরপি লাইনারে মুড়ে ফেলা হবে। ফলে আর ভেঙে পড়া বা ক্ষয়ে যাওয়ার সমস্যা থাকবে না। নালার আয়ু বাড়বে। স্বাভাবিকভাবেই জলধারণ ক্ষমতাও বাড়বে। ফলে, জমা জলের দুর্ভোগ অনেকটাই মিটবে। কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, ইতিমধ্যেই শহরের একাধিক জায়গায় ব্রিটিশ আমলে তৈরি ইটের নিকাশি নালা এই ধরনের লাইনারে মুড়ে ফেলা হয়েছে। নিকাশি নালায় যে বিষাক্ত গ্যাস থাকে, তার অ্যাসিডিক প্রভাব লাইনারে পড়ে না। ফলে, ক্ষয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এই ধরনের জিআরপি লাইনারে মুড়ে দেওয়া হলে নিকাশি নালার আয়ু বেড়ে যায়। ইট ভেঙে নিকাশি নালা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ারও সম্ভাবনা নেই। অন্তত আরও ৫০ বছর টেকসই থাকবে এই ভূগর্ভস্থ নিকাশি পথ।