পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গার জলের দূষণ নিয়ে তথ্য প্রকাশে কড়া অবস্থান নিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। আদালত জানিয়েছে, শুধু গড় বা মধ্যমান দেখিয়ে প্রতিবেদন পেশ নয়। নমুনা পরীক্ষার মূল তথ্য প্রকাশ করতে হবে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে।
৮ অক্টোবর এই মামলার শুনানিতে আদালত জানায়, রাজ্যের পক্ষের আইনজীবী বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দিতে ছ’সপ্তাহ সময় বৃদ্ধির আবেদন করেছেন। অন্য দিকে, ৬ অক্টোবর কেন্দ্রীয় দূষণ পর্ষদের জমা দেওয়া প্রতিবেদনে গঙ্গাজলে থাকা ব্যাকটিরিয়া সংক্রান্ত তথ্য যেমন— মোট কলিফর্ম, ফিকাল কলিফর্ম (এর উপস্থিতির অর্থ, সেই জলে মল বা নর্দমার বর্জ্য মিশেছে এবং তা পানের অযোগ্য), ফিকাল স্ট্রেপটোকক্কাস (এই ব্যাকটেরিয়া মলের মাধ্যমেই জলে আসে। এদের উপস্থিতির অর্থ জল মানব বা প্রাণী বর্জ্যের দ্বারা সংক্রামিত) এবং ই-কোলাই— এসবের গড় মান দেখানো হয়েছে। কিন্তু আদালতের পর্যবেক্ষণ, এ ভাবে গড় মান থেকে আসল দূষণের মাত্রা বোঝা যায় না। তাই কেন্দ্রীয় পর্ষদকে নির্দেশ, প্রতিটি নমুনার আসল পরীক্ষার তথ্য প্রকাশ করতে হবে ও সম্পূর্ণ প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। মূল তথ্য-সহ প্রতিবেদন জমা দিতে পর্ষদকে আরও চার সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। মামলার ফের শুনানি ২৮ নভেম্বর।
ওই নির্দেশে বলা হয়েছে, জনগণের জানার অধিকার রক্ষার স্বার্থে বাস্তব তথ্য গোপন করা যাবে না। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, এই রায় গঙ্গা দূষণের প্রকৃত তথ্য সামনে আনতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।