• আসানসোলের পুলিশ কমিশনার ...
    আজকাল | ১৫ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ার গণ ধর্ষণের ঘটনায় একজনই ধর্ষণ করেছে বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বাকিদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার সুনীল চৌধুরী। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই ঘটনায় নির্যাতিতার সহপাঠীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ধৃতের সংখ্যা বেড়ে ছয়। 

    তিনি জানান, নির্যাতিতা নিজে যেমন এই বিষয়টি জানিয়েছেন, তেমনি অভিযুক্ত নিজেও তার অপরাধের কথা পুলিশের কাছে কবুল করেছে। যদিও গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত কতজন ওই ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ করেছে সেবিষয়টি এই মুহূর্তে জোর দিয়ে বলা সম্ভব নয় বলেই তিনি জানান। 

    এর পাশাপাশি জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার থেকে ম্যাজিস্ট্রেট এদিন গোপন জবানবন্দি সংগ্রহ করেছেন। সেইসঙ্গে এই ঘটনায় নির্যাতিতার সহপাঠী-সহ অন্যান্য অভিযুক্তদের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে বলেও পুলিশ কমিশনার জানান। সেজন্য তাঁদের জামাকাপড় সংগ্রহ করা হয়েছে।‌ 

    ঘটনার পর পুলিশের বিরুদ্ধে যে নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছিল তা খন্ডন করে এদিন পুলিশ কমিশনার বলেন, 'অভিযুক্তদের দুদিনের মধ্যে ধরে ফেলেছি। রাত ১:০৫-এ মৌখিকভাবে খবর পেয়ে অন ডিউটি পুলিশের মোবাইল ভ্যান ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। তারপরেই ৩টে ৩৮ মিনিটে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ জমা দেয়। আমরা তদন্ত শুরু করি। ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলা হয়েছে। তিনজনকে সেই দিনই গ্রেপ্তার করা হয়। পরের দিন আরও দু'জনকে গ্রেপ্তার করি।' 

    সুনীল চৌধুরী জানান, 'যে পাঁচজন ওইখানে ছিল তাদের সবাইকে আমরা গ্রেপ্তার করে ফেলেছি ২ দিনের মধ্যে। তাদের হেফাজতে নিয়ে আমরা তদন্ত অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে গিয়েছি।' এর পাশাপাশি তিনি বলেন, 'যদি নির্যাতিতা ও নির্যাতিতার পরিবারের কোনও নিরাপত্তা রক্ষী লাগে আমরা সেটা দিতেও রাজি আছি। নির্যাতিতার পরিবারকে আমাদের সমস্ত আধিকারিকদের মোবাইল নম্বর দেওয়া আছে।' 

    এদিন তিনি জানান, 'এই ঘটনায় আপাতত একজনের ক্ষেত্রে ধর্ষণের বিষয়টি সামনে এলেও যতক্ষণ না পর্যন্ত বাকিদের ডিএনএ রিপোর্ট এবং গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত কতজন ধর্ষণ করেছে সেই বিষয়টি এই মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। সহপাঠীকে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করছি। সন্দেহের তালিকায় তাকেও রাখা হয়েছে। আমরা তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেছি ও ফরেন্সিক টিম এসেও অনেকটাই 'এভিডেন্স' সংগ্রহ করেছে। তদন্ত আমরা কিন্তু অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে গিয়েছি।'
  • Link to this news (আজকাল)