অয়ন ঘোষাল: কলকাতায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নিচে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা কমে ৫০ শতাংশ। ভোরের দিকে আপাতত আদর্শ হেমন্তের পরিবেশ। সকাল ১০টা থেকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি। আর্দ্রতা বেড়ে ফের ৯০ এর ঘরে। সন্ধ্যে থেকে ফের শুষ্ক মনোরম আবহাওয়া।
বাংলা থেকে বর্ষা বিদায় নিয়েছে ১৩ অক্টোবর। তার পরের দিন ১৪ অক্টোবর গতকাল উত্তর পূর্ব ভারতের সমস্ত রাজ্য থেকে বিদায় নিল দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়। ক্রমশ শুষ্ক আবহাওয়া বাংলায়। আগামী পাঁচ দিন বাংলায় বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই। উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের কোন জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। জানিয়ে দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
রাজ্যে আগামী ৫ দিন পরিষ্কার আকাশ। কখনো কোনো কোনো জেলার কোনো কোনো অংশে কিছুক্ষণের জন্য আংশিক মেঘলা আকাশ হতে পারে। কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আপাতত ২৩ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২ থেকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা আরো দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কম থাকবে বলে জানিয়ে দিল আবহাওয়া দপ্তর। কুড়ি ডিগ্রির কাছাকাছি তাপমাত্রা থাকতে পারে বাঁকুড়া পুরুলিয়া বীরভূম এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার কিছু অংশে। শ্রীনিকেতনের রাতের তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই ২০ ডিগ্রিতে নেমে গিয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে একই পথে হাঁটতে চলেছে বাঁকুড়া পুরুলিয়া পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড় এবং ঝাড়গ্রাম।
বর্ষা বিদায়ে স্বভাবতই বাড়ছে শীতের প্রত্যাশা। তবে অক্টোবরের শেষে এবং নভেম্বরের প্রায় পুরোটাই একাধিক নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড় বা পশ্চিমী ঝঞ্ঝার বাধা থাকবে বলেই মৌসম ভবনের লং টার্ম আউটলুক জানাচ্ছে। তাই জাঁকিয়ে শীত ডিসেম্বরের ৪ বা ৫ তারিখের আগে নয় বলেই পূর্বানুমান।
কলকাতায় ডিসেম্বরের আগে রাতের পারদ ১৫ ডিগ্রি বা তার নিচে নামার সম্ভাবনা প্রায় নেই। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত চলতে পারে ২০২৫ - ২০২৬ এর শীতের ইনিংস।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের মান্যতা প্রাপ্ত আবহাওয়া গবেষণা সংস্থা WEATHER FORCASTING SYSTEM বা WFS অক্টোবরে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে। ভারতের মৌসম ভবন এখনও পর্যন্ত এনিয়ে কোনো সতর্কতা বা পূর্বাভাস জারি করেনি। WFS জানাচ্ছে ২৫ অক্টোবর ভারতীয় সময় রাত ৩ টে নাগাদ দক্ষিণ আন্দামান সাগরের ইন্দিরা পয়েন্টের কাছে বঙ্গোপসাগরে একটি অতি শক্তিশালী নিম্নচাপ তৈরি হবে। যা ২৭ অথবা ২৮ তারিখ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে। নিম্নচাপ ২৫ এবং ২৬ তারিখ প্রায় গোটা দিন আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ কে বাঁদিকে রেখে জলভাগ ধরে জলীয় বাষ্প বা শক্তি সঞ্চয় করতে করতে ভারতের মূল ভূখণ্ডের দিকে এগোবে। এটি ২৭ তারিখ তামিলনাড়ু উপকূলের খুব কাছাকাছি এসে পৌঁছবে। এরপর সম্ভাব্য দুটি গতিপথের কথা বলা হয়েছে। প্রথমটি পুদুচেরী উপকূল হয়ে আরব সাগর। দ্বিতীয়টি বঙ্গোপসাগর বরাবর এগিয়ে ওড়িশা অন্ধ্র উপকূলের গোপালপুর।