• প্রয়াত আইপিএস অফিসারের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার না করলে শেষকৃত্য নয় নিহত ASI-এর! হুঁশিয়ারি পরিবারের
    প্রতিদিন | ১৫ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হরিয়ানায় ফের পুলিশ আধিকারিকের ‘আত্মহত্যা’ ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। প্রয়াত এএসআই সন্দীপ কুমারের পরিবারের দাবি, সম্প্রতি আত্মঘাতী শীর্ষ পুলিশকর্তা পুরন কুমারের স্ত্রী অমনীতকে গ্রেপ্তার করতে হবে। যতক্ষণ না তা করা হবে ততক্ষণ সন্দীপের শেষকৃত্য করা হবে না বলেও পরিবারের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

    সন্দীপের তুতো ভাই শিশপাল লাথার বলছেন, ”আমার দাদা একজন শহিদ। উনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়েছিলেন। যেমন ভগৎ সিং লড়েছিলেন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে। সরকারের উচিত পুরন কুমারের সম্পত্তির হিসেব খতিয়ে দেখা। যা ২০০০ থেকে ৩০০০ কোটির মধ্যেই হবে।” পক্ষপাতহীন তদন্তের দাবি তুলে সরব হয়েছেন তিনি। পুলিশের মধ্যে দুর্নীতি ও জাতপাতের রাজনীতি ছেয়ে গিয়েছে বলেও ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। দাবি করেন পুরন কুমারের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত তাঁরা সন্দীপের শেষকৃত্য করবেন না।

    সন্দীপ রাথার রোহতকের সাইবার সেলে কর্মরত ছিলেন। নিজের সুইসাইড নোটে ওই অফিসার দায়ী করেছেন পুরন কুমারকে! যা হরিয়ানার পুলিশ মৃত্যুর ঘটনায় নয়া মোড় এনে দিল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। উল্লেখ্য, পুরনের মৃত্যুর পর পুলিশ কোনও এফআইআর করেনি। কিন্তু পুরন কুমারের স্ত্রী অমনিত মুখ্যমন্ত্রী নবাব সিং সাইনিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে চিঠি লেখেন। এছাড়াও পুলিশ একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অমনিত। সেখানে নাম রয়েছে হরিয়ানার ডিজিপি শত্রুজিৎ কাপুর, রোহতকের পুলিশ প্রধান নরেন্দ্র বিজারনিয়া এবং আরও কয়েক জন পুলিশ আধিকারিকের। এঁদের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতন এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে লিখিত অভিযোগে। এর জন্য ঊর্ধ্বতন পুলিশকর্তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের ও গ্রেপ্তারি, তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা এবং অধিকার রক্ষার দাবি জানানো হয়। এই অভিযোগের পরেই ১৩ জন পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এদিকে হরিয়ানার আত্মঘাতী পুলিশ কর্তার বাড়িতে গিয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। এবার বিতর্ক নয়া মোড় নিয়েছে সন্দীপের আত্মহত্যায়।
  • Link to this news (প্রতিদিন)