স্টাফ রিপোর্টার: দেশের শীর্ষ আদালতের স্পষ্ট নির্দেশের পরও থমকে কলকাতা, যাদবপুর-সহ রাজ্যের ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ। আর এই প্রশ্নে নামের তালিকা নিয়ে গড়িমসির অভিযোগ উঠল। উচ্চশিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজভবনকে রায়ের কপি পাঠানো সত্ত্বেও কেন ৬ জনের নামের তালিকা পাঠানো হয়নি, সেই যুক্তিতে ফাইল ফেরত দিয়েছে রাজভবন। অথচ দপ্তর স্পষ্ট করেছে, এই তালিকা দেবে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে উঠছে অযথা টালবাহানা বা জটিলতা তৈরির অভিযোগ। বিশেষ করে, যাদবপুর ও কলকাতায় স্থায়ী উপাচার্য না থাকায় গবেষণার পাশাপাশি প্রশাসনিক বহু কাজ আটকে রয়েছে। পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে তাতে বিদেশ থেকে যাদবপুর ও কলকাতায় গবেষণার কাজ আসা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা।
জানা গিয়েছে, স্থায়ী উপাচার্যের নিয়োগের নির্দেশ আসার পর গত ৯ নভেম্বর উচ্চশিক্ষা দপ্তর সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কপি রাজভবনে পাঠিয়ে দেয়। ৬ জনের নামের তালিকা কেন পাঠানো হয়নি, তা উল্লেখ করে রাজভবন তা ফেরত দেয় উচ্চশিক্ষা দপ্তরকে। উচ্চশিক্ষা দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, নামের তালিকা সুপ্রিম কোর্ট রাজভবনে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা। দপ্তর নামের তালিকা পাঠাতে পারে না। ৬ জনের নামের তালিকা সুপ্রিম কোর্ট থেকে দেওয়া হবে বলে রাজভবনকে উচ্চশিক্ষা দপ্তর জানিয়ে দিয়েছে। এখন অপেক্ষা করা ছাড়া কিছু করার নেই। এমনটাই মত উচ্চশিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের।
উল্লেখ্য, স্থায়ী উপাচার্য না থাকায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু গবেষণার কাজ থমকে গিয়েছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক জানান, গবেষণার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজও প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। বিদেশ থেকে বহু টাকার গবেষণার কাজ আসে। স্থায়ী উপাচার্য না থাকায় সেই কাজ আদৌ আসবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সেলিম বক্স মণ্ডল বলেন, “যাদবপুরের মতো বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন স্থায়ী উপাচার্য নেই। নতুন করে বাইরে থেকে গবেষণার কাজ আসবে কি না, তা নিয়ে ক্যাম্পাসের মধ্যে প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু প্রশাসনিক কাজ হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়কে সচল করতে অবিলম্বে আচার্যের উচিত স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা।”