• নিজে গ্রন্থাগারিক অথচ, সন্তানের বই কেনার সামর্থ্য নেই! সইতে না পেরে এ কী করলেন মা?
    আজকাল | ১৫ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: কর্নাটকের কালাবুর্গিতে এক মর্মান্তিক ঘটনা। বেতন না পেয়ে আত্মঘাতী হলেন বছর চল্লিশের এক গ্রন্থাগার সুপারভাইজার। মৃতের নাম ভাগ্যবতী বিশ্বেশ্বরাইয়া আগ্গিমাঠ। খবর অনুযায়ী, সেডাম তালুকের মালাখেদ গ্রামে গ্রাম পঞ্চায়েত পরিচালিত গ্রন্থাগারের ভিতর থেকেই ফ্যান থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনা ঘিরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য। 

    ছ'বছর ধরে গ্রন্থাগারিকের কাজ করা ভাগ্যবতী একটি সুইসাইড নোটও রেখে গিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, তিন মাস বেতন না পাওয়ায় আর্থিক সঙ্কটের কারণেই তিনি এই চরম পদক্ষেপ করতে বাধ্য হচ্ছেন। ওই সুইসাইড নোটটিকে গোটা ব্যবস্থার দিকে তোলা সরাসরি অভিযোগপত্র হিসাবেই দেখা হচ্ছে।

    তাঁর পরিবারেরও অভিযোগ, বকেয়া বেতনের জন্য বার বার কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েও কোনও লাভ হয়নি। দুই সন্তানের স্কুলের ফি দেওয়া এবং সংসারের খরচ চালাতেও হিমশিম খাচ্ছিলেন তিনি।

    পরিবারের তরফে এই মৃত্যুর জন্য সরাসরি দপ্তরকে দায়ী করা হয়েছে। ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি পরিবারের এক সদস্যের জন্য চাকরিরও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।

    এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিজেপি। তাদের দাবি, এটি আত্মহত্যা নয়, বরং ‘সরকারের মদতপুষ্ট খুন’। ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিও তুলেছে তারা।

    বিরোধী দলনেতা আর অশোক বলেন, "কালাবুর্গি গ্রন্থাগারের মহিলা কর্মীর মৃত্যু আত্মহত্যা নয়, এটি সরকারের মদতপুষ্ট খুন। এই মামলার তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দিতে হবে।"

    অশোক আরও বলেন, "ন্যায়বিচারের দাবিতে কালাবুর্গির কর্মীরা ধর্মঘট করছেন। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) বা কমিশন গঠন করার সম্ভাবনা রয়েছে।" তাঁর কথায়, "তামিলনাড়ুর কারুরে প্রায় ৫০ জন মারা গিয়েছিলেন। সেখানে সরকার সিট গঠন করে বিষয়টি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেই তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দেয়। এই আত্মহত্যার মামলার তদন্তও সিবিআই-কে দেওয়া উচিত।"

    তিনি যোগ করেন, "কালাবুর্গিতে সুইসাইড নোটটিও গায়েব করে দেওয়া হয়েছে। যথারীতি কংগ্রেস নেতারা মৃতের বাড়িতে গিয়ে টাকা দিয়ে বিষয়টি মিটমাট করার চেষ্টা করেছেন।"

    বিরোধী দলনেতার কটাক্ষ, "এটি একটি দেউলিয়া সরকার, ভিক্ষার বাটি হাতে নিয়ে ঘুরছে। এই সরকার হিমাচল প্রদেশের থেকেও খারাপ। সরকার এবং সিদ্দারামাইয়া যদি যোগ-বিয়োগের অঙ্কটা জানতেন, তবে এই মৃত্যু হত না।"
  • Link to this news (আজকাল)