• ফ্লার্ট করছেন শিক্ষিকা! প্রিয় ছাত্রকে রাতে কী কী মেসেজ পাঠান, গোপন কথোপকথন ফাঁস, দেখেই চোখ ছানাবড়া নেটিজেনদের ...
    আজকাল | ১৫ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: ক্লাসে শিক্ষিকা সুলভ আচরণ। কিন্তু বাড়ির ফেরার পরেই বদলে যান তিনি। রাত জেগে মেসেজ পাঠান প্রিয় ছাত্রকে। কখনও প্রশংসা করেন, কখনও আবেগপ্রবণ হয়ে নানা বিশেষণ দিয়ে মন ভরিয়ে তোলেন ছাত্রের। কিন্তু এমন আচরণ কি স্বাভাবিক? শিক্ষিকার আচরণ নিয়ে সন্দেহ হতেই গোপন কথোপকথন ফাঁস করেছেন ছাত্র। 

    সোশ্যাল মিডিয়ায় শিক্ষিকার সঙ্গে কথোপকথনের কিছু মুহূর্তের স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন ওই ছাত্র। তিনি জানিয়েছেন, শিক্ষিকা প্রায়ই ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বিবাহ বিচ্ছিন্না। একাই থাকেন। তবে কলেজের অন্যান্য ছাত্রের তুলনায় তাঁর প্রতি অতিরিক্ত বেশি দুর্বল‌। সে কথা শিক্ষিকাও স্বীকার করেছেন একাধিক মেসেজে। যে আচরণ দেখেই ছাত্রের মনে হয়েছে, শিক্ষিকা ফ্লার্ট করছেন। এই আচরণের জন্য তাঁর কথা বলা থামিয়ে দেওয়া উচিত কিনা, তাও জানতে চেয়েছেন নেটিজেনদের কাছে। 

    একটি কথোপকথনে ওই শিক্ষিকা ছাত্রকে লিখেছেন, 'ক্লাসে প্রথমদিন তোমায় দেখেই মনে হয়েছিল, তুমি সবার থেকে আলাদা। এত ট্যালেন্টেড এবং ইন্টেলিজেন্ট। এমবিএ ছাত্রদের মতো বুদ্ধি তোমার। অথচ সবে এখন স্নাতক স্তরে। তোমার মতো ছাত্র সচরাচর পাওয়া যায় না। সুপুরুষদের মতো তোমার আচরণ। আমি সত্যিই মুগ্ধ।' এমন আরও একগুচ্ছ মেসেজের স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন ওই ছাত্র। 

    ছাত্র ও শিক্ষিকার কথোপকথন দেখেই নেটিজেনদের চোখ ছানাবড়া হয়ে গেছে। পরামর্শ দেওয়ার বদলে একজন লিখেছেন, 'শিক্ষিকাকে গুড মর্নিং, গুড নাইট পাঠানোর সাহস ছিল না আমাদের।' আরেকজন লিখেছেন, 'এমন করে শিক্ষিকার সঙ্গে কথা বলা যায়? আমরা যদি পাঠাতাম, তাহলে বেধড়ক মারধর করতেন।' 

    প্রসঙ্গত, ছাত্রকে অশ্লীল মেসেজ পাঠানোর জন্য কড়া শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছিল এক শিক্ষিকাকে। ১১ বছরের ছাত্রকে দিনের পর দিন যৌন হেনস্থার অভিযোগে গ্রেপ্তার ২৭ বছরের শিক্ষিকা। এবার আদালত শিক্ষিকাকে ন'বছরের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল। শিক্ষিকা বিবাহিত ছিলেন। ক্লাসরুমেই নাবালক ছাত্রকে যৌন হেনস্থা করতেন বলে পরিবার অভিযোগ জানিয়েছিল। 

    আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, অ্যানা প্লাকসিউক রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের টকসভো শহরের এক স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, ক্লাস শেষ হলে অন্যান্য ছাত্রদের যেতে বললেও, ওই ছাত্রকে আটকে রেখেছিলেন। এরপর ফাঁকা ক্লাসরুমে ছাত্রকে তাঁর স্তন ছুঁতে জোর করেন। ঠোঁটে চুমু খেতেও জোরাজুরি করেন। নির্জনতার সুযোগে ছাত্রের যৌনাঙ্গ স্পর্শ করেন। 

    এখানেই শেষ নয়‌। ছাত্রের ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ ঘেঁটে তার মা জানতে পারেন, দিনের পর দিন অ্যানা নগ্ন ছবি পাঠাতেন। ছাত্রকেও নগ্ন ছবি পাঠানোর জন্য জোর করতেন। অশ্লীল মেসেজ পাঠাতেন রোজ রাতে। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর অ্যানা জানান, ২০২৩ সাল থেকে ওই ছাত্র তাঁকে উত্যক্ত করত। প্রায়ই ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করত। অবশেষে ছাত্রের সঙ্গে কথোপকথন শুরু হয় তাঁর। 

    ছাত্রের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২৪ সালে অ্যানাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই ঘটনার তদন্ত শেষ হয়েছে সম্প্রতি। এবার ন'বছরের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হল তাঁকে। 
  • Link to this news (আজকাল)