• দাউদাউ জ্বলছে পরপর গুদাম, নিমেষে ছাই কয়েক কোটি টাকার সামগ্রী! অগ্নিকাণ্ডের জেরে জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ ...
    আজকাল | ১৫ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল মালদহে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচকের সুজাপুরে ডাঙ্গা এলাকায়। জাতীয় সড়কের ধারে পরপর তিনটি প্লাস্টিক গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। যে ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও আতঙ্ক তৈরি হল এলাকায়। 

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে বুধবার সকাল পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। দমকলের চারটি ইঞ্জিন আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এখনও। 

    অগ্নিকাণ্ডের জেরে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। তৈরি হয়েছে দীর্ঘ যানজট। তিনটি প্লাস্টিক গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। গুদামগুলিতে মূলত প্লাস্টিক সামগ্রী মজুত রাখা হয়। সবই প্রায় আগুনে পুড়ে গেছে। যদিও অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে বারংবার কালিয়াচকে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফের কালিয়াচকে দমকল কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 

    আরও জানা গেছে, সুজাপুরে চারটি প্লাস্টিক গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

    মঙ্গলবার রাত প্রায় ১টা নাগাদ কালিয়াচক থানার সুজাপুর ডাঙ্গা এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় একাধিক প্লাস্টিক গোডাউন।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গভীর রাতে আগুন দেখতে পেয়ে বাসিন্দারা তৎক্ষণাৎ খবর দেন ইংরেজবাজার দমকল দপ্তরে। খবর পেয়ে ইংরেজবাজার থেকে চারটি দমকল ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তবে আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সকাল পর্যন্ত সময় লেগে যায়। 

    সুজাপুরে প্লাস্টিক রিসাইকেল শিল্প জেলার অন্যতম বড় কেন্দ্র। প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক এই শিল্পে কাজ করেন। স্থানীয়দের দাবি, আগুনে চারটি বড় প্লাস্টিক গোডাউন সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে এবং কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

    আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে শর্ট সার্কিট অথবা কেউ বা কারা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে কালিয়াচক থানার পুলিশ। 

    স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কালিয়াচকের সুজাপুর এলাকায় এখনও পর্যন্ত কোনও দমকল কেন্দ্র না থাকায় প্রায়ই এমন ঘটনায় বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়। ভোটের সময় রাজনৈতিক নেতারা দমকল কেন্দ্র স্থাপনের আশ্বাস দিলেও তা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। 

    একজন স্থানীয় ব্যবসায়ী বলেন, যদি কালিয়াচকে দমকল কেন্দ্র থাকত তাহলে এত বড় ক্ষতি হত না। প্লাস্টিক গোডাউনের আগুন এই ঘটনা প্রথম নয়। এর আগেও বহুবার অগ্নিকাণ্ডের জেরে ভস্মীভূত হয়েছে একাধিক প্লাস্টিক কারখানা। স্থানীয় বাসিন্দারা বারবার দমকলের দাবি জানিয়েছেন এই এলাকায়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও দমকল কেন্দ্র না থাকায় মালদহ শহর থেকে দমকল যেতে হয় সুজাপুরে। যার ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়ে দমকলের পক্ষে।
  • Link to this news (আজকাল)