• ফের বেপরোয়া যানবাহনের গতির বলি জলদাপাড়ার বন্যপ্রাণী
    বর্তমান | ১৫ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: মাদারিহাটে ফের বেপরোয়া যানবাহনের গতির বলি জলদাপাড়ার বন্যপ্রাণী। মঙ্গলবার রাতে তোর্সা সেতু ও মাদারিহাটের মাঝে হলং বাজার এলাকায় ৪৮ নম্বর এশিয়ান হাইওয়ে সড়কে একটি গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে চিতাবাঘের। তবে ওই সড়কের দু’পাশে ট্র্যাপ ক্যামেরা না থাকায় বনদপ্তর ঘাতক গাড়িটিকে চিহ্নিত করা যায়নি। এবার সেই লক্ষ্যে বনদপ্তর ওই সড়কের দু’পাশে ৩০টি ট্র্যাপ ক্যামেরা বসাতে টেন্ডার ডেকেছে। বনদপ্তর সূত্রে খবর, রাত ৯টার একটু পরে চিতাবাঘটিকে কোনও একটি গাড়ি ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে অকুস্হলে  পৌঁছে বনকর্মীরা গুরুতর জখম স্ত্রী চিতাবাঘটিকে জাল দিয়ে মুড়ে জলদাপাড়া প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে আসে। কিন্তু বনকর্মীরা বহু চেষ্টা করেও জখম চিতাবাঘটিকে বাঁচাতে পারেন নি। বনদপ্তর জানিয়েছে, রাতের দিকে ৮ বছর বয়সী পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী চিতাবাঘটির মৃত্যু হয়। এদিকে, ঘাতক গাড়িটির খোঁজে তল্লাশী চালাচ্ছে বনদপ্তর। পুলিশকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। যদিও ওই এশিয়ান হাইসড়কের দুই পাশে কোন ট্র্যাপ ক্যামেরা না থাকায় ঘাতক গাড়িটিকে চিহ্নিত করার কাজে ফাঁপড়ে পড়েছে বনদপ্তর। সেই জন্য তোর্সা সেতু থেকে মাদারিহাট পর্যন্ত জলদাপাড়া জঙ্গলের ভেতর দিয়ে যাওয়া এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের ওই অংশে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানোর দাবি দীর্ঘদিনের। যাতে কোনও গাড়ির ধাক্কায় বন্যপ্রাণী মারা গেলে ঘাতক গাড়িটিকে চিহ্নিত করা সহজ হয়।জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের সহকারি বন্যপ্রাণী সংরক্ষক নবিকান্ত ঝাঁ বলেন, “বহু চেষ্টা করে জখম চিতাবাঘটিকে বাঁচানো গেল না। রাতে  চিতাবাঘটি মারা গিয়েছে। রাতে চিতবাঘটির ময়নাতদন্তও করা হয়েছে। পলাতক ঘাতক গাড়িটির খোঁজ চলছে।”জলদাপাড়ার ওই বনকর্তা বলেন, “তবে এবার থেকে রাতে দিনে কোনও বন্যপ্রাণীকে ধাক্কা দেওয়া গাড়িকে চিহ্নিত করতে এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের ওই অংশে ৩০টি ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানোর কাজের টেন্ডারও ডাকা হয়েছে।”
  • Link to this news (বর্তমান)