দুর্গাপুর গণধর্ষণ কাণ্ডে মঙ্গলবার নির্যাতিতার সহপাঠীকে গ্রেপ্তার করার পর, বুধবার সকালে তাকে তোলা হয় দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬। বুধবার, নির্যাতিতার সহপাঠীকে আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। বিচারক সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনার পুনর্নির্মাণ করার পরেই সহপাঠীর বক্তব্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি মেলে। লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদের পরেই গ্রেপ্তার করা হয় নির্যাতিতার সহপাঠীকে।
অন্যদিকে, এই কাণ্ডে ধৃত বাকি ৫ জনের ইতিমধ্যেই ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়ে গিয়েছে। তবে রিপোর্টে কী আছে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে ধৃত ওই পাঁচ জনের মধ্যে ঘটনাস্থলে ৪ জনের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। এছাড়া সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী আগেই জানান, গণধর্ষণ হয়নি, ধর্ষণ করেছে যে কোনও একজনই। তবে সেই নাম এখনও প্রকাশ করেনি পুলিশ।
দুর্গাপুর গণধর্ষণে অভিযুক্তদের মঙ্গলবার পরাণগঞ্জ কালীবাড়ি শ্মশান সংলগ্ন ঝোপঝাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সকালে দুই অভিযুক্ত তথা শেখ রিয়াজউদ্দিন ও শেখ নাসির উদ্দিনকে তদন্তের স্বার্থে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের বাড়ি বিজড়া গ্রামে। উদ্ধার হয় ধৃতদের পোশাক, যা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
পুনর্নির্মাণের পর বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ। ঘটনার দিন ঠিক কী কী ঘটেছিল? কোন জায়গায় ওই ডাক্তারি পড়ুয়া ও তাঁর সহপাঠীর সঙ্গে অভিযুক্তদের দেখা হল? কোন পরিস্থিতিতে তরুণীর সহপাঠী তাঁকে ফেলে রেখে পালালেন? ঠিক কোন জায়গায় ঘটনাটি ঘটল? কোন স্থানে ফের তরুণীকে দেখতে পেয়ে তাঁকে হস্টেলে ফেরত নিয়ে এলেন তাঁর সহপাঠী?
হাসপাতাল সূত্রে খবর আগের থেকে অনেকটাই সেরে উঠেছেন দুর্গাপুরের মেডিক্যাল পড়ুয়া। ধীরে ধীরে সুস্থতার পথেই এগোচ্ছেন তিনি। নির্যাতিতার বাবা ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন।