• 'DVC ২০ বছর কিছু করেনি, ড্রেজিং না করলে সব বাঁধ ভেঙে দাও...', বিপর্যয়ে বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী
    ২৪ ঘন্টা | ১৫ অক্টোবর ২০২৫
  • শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি জেলাগুলিতে প্রবল বৃষ্টির জেরে তৈরি হওয়া দুর্যোগ পরিস্থিতি (Disaster in North Bengal) সামাল দিতে টানা কয়েক দিন ধরে ময়দানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Bandyopadhyay)। বুধবার দার্জিলিঙে প্রশাসনিক বৈঠকে (Administrative Meeting) ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান তুলে ধরে তিনি জানান, 'দুধিয়ার অস্থায়ী সেতু আর সাত দিনের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে। পাশাপাশি, সেখানে একটি স্থায়ী সেতুর কাজও চলছে, যা বছর দেড়েক আগেই শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই পায়ে হাঁটার একটি ছোট সেতু তৈরি করা হয়েছে।'

    ভুটানের জলেই উত্তরবঙ্গে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। ওদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা থেকে এমনই মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পায়ে হেঁটে গোটা এলাকা ঘুরে দেখা এবং ত্রাণসামগ্রী বিলি করার পাশাপাশি মৃতদের পরিবারের এক জন করে সদস্যের হাতে চাকরির নিয়োগপত্রও তুলে দিলেন তিনি।

    উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে গত বুধবারই কলকাতায় ফিরেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিন দিন পর, রবিবার আবার তিনি উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন। রবিবার আলিপুরদুয়ারের বিভিন্ন জায়গার পরিস্থিতি ঘুরে দেখেন মমতা। তার পর সোমবার সকালে রওনা দেন নাগরাকাটার উদ্দেশে। প্রথমেই বামনডাঙায় যান মমতা। সেখানে সাত জনের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্যোগে এলাকাবাসীদের যা যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সে সব রাজ্য সরকার পূরণ করে দেবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

    মুখ্যমন্ত্রী জানান, দার্জিলিঙের ৯টি ব্লক এবং ৪টি মহকুমা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনো পর্যন্ত ১ হাজার ৩০০-রও বেশি মানুষকে বিপদ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মমতার কথায়, 'ওরা তলিয়ে যেতে পারতেন। ভগবানের কৃপায় বেঁচে গিয়েছেন।'

    বুধবার দার্জিলিঙের লালকুঠি থেকে এদিনের বৈঠকে ফের পড়শি রাজ্য থেকে জল ছাড়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। এও বলেন, 'এভাবে পড়শি রাজ্যের জলে আমাদের এলাকা বারবার বানভাসি হলে প্রয়োজনে আমার ড্যাম ভেঙে দিতে বাধ্য হব'

    এছাড়া বলেন- 

    ১. ভুটানের জল কমাতে হবে।


    ২. আমাদের সবকিছু ভেঙে গেছে/নষ্ট হয়ে গেছে। 


    ৩. ভূটানকে আমাকে সাহায্য করতে হবে।


    ৪. তাদের জল যেন আমাদের না ভাসিয়ে দিতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।


    ৫. ডিভিসি (DVC)গত ২০ বছর ধরে ড্রেজিং (নদীর পলি অপসারণ) করেনি।


    ৬. ড্রেজিং না করার কারণে বাংলা এবং বিহার উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।


    ৭. মেঘনাদ সাহা বলেছিলেন বাঁধের কোনো প্রয়োজন নেই।


    ৮. ড্রেজিং না করলে বাঁধের প্রয়োজন নেই, তাই ভেঙে দাও।


    ৯. সিকিমে ১৪টি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প (Hydel Power) তৈরি করা হয়েছে।


    ১০. আপনারা প্রকৃতির শোষণ করছেন।


    ১১. আমি ভীত যে যেকোনো সময় সাংঘাতিক বিপর্যয়/দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

     

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)