• স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি তাড়ানো, বাপের বাড়িতে গিয়ে শ্বশুর-শাশুড়িকেও কোপাল স্বামী!
    ২৪ ঘন্টা | ১৫ অক্টোবর ২০২৫
  • তথাগত চক্রবর্তী: পারিবারিক অশান্তি চরমে গিয়ে পৌঁছাল কুলতলিতে। দোলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা সুস্মিতা ও কালিদাস নস্করের প্রেমের সম্পর্ক থেকেই কয়েক বছর আগে বিয়ে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় অশান্তির পালা। অভিযোগ, প্রায়ই স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত কালিদাস। বারবার সহ্য করেও যখন আর পেরে ওঠেনি সুস্মিতা, তখন বাপের বাড়িতে ফিরে আসেন তিনি।

    সেখানেই ঘটে আরও বড় বিপদ। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে হঠাৎই শ্বশুরবাড়িতে চড়াও হয় কালিদাস। স্ত্রীকে ফের সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার নাম করে শুরু হয় বচসা। মুহূর্তের মধ্যেই তা রূপ নেয় হামলায়। সুস্মিতাকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাকে থামাতে এগিয়ে আসেন তাঁর বাবা-মা। তাঁদেরকেও রেহাই দেয়নি অভিযুক্ত স্বামী।

    ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় শ্বশুর ও শাশুড়িকে। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন সকলেই। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে কোনওরকমে রক্ষা পান আহতরা। উত্তেজিত গ্রামবাসীরা ধরে ফেলে কালিদাসকে। খবর যায় থানায়। কুলতলি থানা পুলিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে গ্রামবাসীদের হাত থেকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ তাকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা দোলবাড়ি এলাকায়। আহত তিনজন চিকিৎসাধীন। পারিবারিক দ্বন্দ্ব থেকে রীতিমতো রণক্ষেত্রের ছবি—এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ স্থানীয়দের।

    অন্যদিকে, কিছুদিন মালদায় তাজ্জব করা হাড়হিম ঘটনা ঘটে। পারিবারিক বিবাদের জেরে পুরুষাঙ্গ কামড়ে ছিঁড়ে শ্বশুরকে খুন মেরে ফেলে বউমা। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ঘটনার কয়েক দিন আগে থেকেই শ্বশুরের সঙ্গে বিবাদ চলছিল বউমার। এক বৃহস্পতিবার বাড়িতে একাই ছিলেন নিহত নূর। অভিযোগ, সেই সুযোগেই শ্বশুরে উপর অতর্কিতে হামলা চালায় বড় ছেলের বউ সুলতানা বিবির। প্রথমে আঘাত, তারপর পুরুষাঙ্গ ছিঁড়ে নেন তিনি। ঘটনাটি জানাজানি হতে এতটাই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন যে, অভিযুক্তদের উপর চড়াও হন গ্রামবাসীরা। এমনকী, ওই গৃহবধূকে কিল, চড়, ঘুষি মারেন স্থানীয় মহিলাদের একাংশ। শেষে পুলিস এসে সুলতানা উদ্ধার করে পুলিস। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।  জেরায় অপরাধ স্বীকারও করেছেন তিনি।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)