জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দুর্গাপুর 'গণধর্ষণ'কাণ্ডে ১৮০ ডিগ্রি মোড়! গ্রেফতার হয়েছেন নির্যাতিতার বন্ধুও। তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু প্রমাণ সংগ্রহের পরই, মঙ্গলবার নির্যাতিতার সহপাঠীকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। সূত্রের খবর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নির্যাতিতা অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন রাতে ওয়াসিফ আলী নির্যাতিতার সহপাঠী ওই যুবকও তাঁর উপর জোর করার চেষ্টা করেছিল। এই নিয়ে এই মামলায় গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬। যদিও পুলিসের দাবি, দুর্গাপুরের ঘটনা 'গণধর্ষণ নয়, এটি ধর্ষণ, একজনেরই কাজ।' ওদিকে নির্যাতিতার বয়ানে উঠে এসেছে ভয়ংকর তথ্য।
নির্যাতিতা মেডিকেল পড়ুয়া দাবি করেছেন যে, তিনি যখন তাঁর সহপাঠীর সঙ্গে রাতের খাবার আনার জন্য ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়েছিলেন, তখনই তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বর্বরের দল। তাঁকে জঙ্গলে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, ৩ জন মিলে তাঁকে ও তাঁর বন্ধুকে ধাওয়া করে তুলে নিয়ে যায়। জঙ্গলে টেনে নিয়ে যায়। এমনকি চিৎকার করলে আরও পুরুষদের ডেকে আনবে ও তারাও নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করবে বলেও হুমকি দেয়।
সূত্রের খবর নির্যাতিতার কথায়, "আমি আর আমার বন্ধু লক্ষ্য করলাম যে ওরা গাড়ি ছেড়ে আমাদের দিকে আসছে। আমরা জঙ্গলের দিকে দৌড়াতে শুরু করলাম। তারপর ওই ৩ জন আমাদের পিছনে দৌড়তে দৌড়তে এসে আমাকে জোর করে ধরে জঙ্গলে টেনে নিয়ে গেল। জঙ্গলের মধ্যে আমাকে জোর করে শুইয়ে দিল। আমি চিৎকার করতে থাকলাম। তখন ওরা বলল, আমি যদি চিৎকার করি, আওয়াজ করি, তাহলে ওরা আরও পুরুষদের ডাকবে, আর তারাও একই কাজ করবে। তাই আমাদের এটা করতে দাও।" দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিকেল কলেজের পড়ুয়া দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী ওড়িশার জলেশ্বরের বাসিন্দা। ২৩ বছর বয়সী ওই মেডিকেল ছাত্রীকে শুক্রবার রাতে কলেজের কাছে একটি জঙ্গলে তুলে নিয়ে গিয়ে 'গণধর্ষণ' করা হয় বলে দাবি ও অভিযোগ।
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ধৃতদের মধ্যে একজন কলেজের প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষী, অন্যজন একটি হাসপাতালে কর্মরত, একজন স্থানীয় নাগরিক সংস্থার সঙ্গে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিযুক্ত ও অন্যজন বেকার। যদিও আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিস কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী দাবি করেছেন, এটি গণধর্ষণের ঘটনা নয়, কেবলমাত্র একজন-ই ওই মেডিকেল ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করেছে। এখন ধৃত নির্যাতিতার সঙ্গী পুলিসের কাছে কী স্বীকারোক্তি দেন, তার উপর অনেকখানি নির্ভর করছে এই মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া।