• ২ দিনেই বর্ষা বিদায়, নামবে পারদ! বঙ্গে জাঁকিয়ে শীতের দেখা মিলবে কবে?
    প্রতিদিন | ১৫ অক্টোবর ২০২৫
  • নব্যেন্দু হাজরা: বৃষ্টির আর কোনও লক্ষণ নেই। বাংলায় হাওয়া বদলের বড় ইঙ্গিত দিল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। আগামী দু’দিনের মধ্যেই গোটা দেশ থেকে বর্ষা বিদায় নেবে। এমনই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। ক্রমে পূবালী ও দক্ষিণ পূর্বের বাতাস প্রভাব বিস্তার করবে দক্ষিণ ভারতের উপর। উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ুর প্রভাব দেখা যাবে। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। এছাড়াও দক্ষিণ বাংলাদেশ ও সংলগ্ন এলাকার উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে।

    নিম্নচাপের অতি ভারী বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে উত্তরবঙ্গে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেও রাজ্যে বৃষ্টি চলছিল। বর্ষার বিদায় কবে হবে? সেটাই ছিল প্রশ্ন। শেষপর্যন্ত হাওয়া অফিস জানিয়ে দেয়, বাংলা থেকেও বর্ষা বিদায় নিতে শুরু করেছে। বর্ষা বিদায়ের পর ক্রমশ শুষ্ক আবহাওয়া দেখা দিচ্ছে বাংলায়। রাতের দিকে ইতিমধ্যেই জেলাগুলিতে শিরশিরানি অনুভব দেখা দিয়েছে। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা আরও ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম থাকবে।

    হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আপাতত আগামী পাঁচদিন বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই বঙ্গে। জলীয় বাষ্প বেশি থাকার কারণে তাপমাত্রার খুব একটা বেশি হেরফেরও হবে না। দিনের বেলা আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকতে পারে। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ক্রমশ কমবে। রাতে শিশির পড়বে। সকালের দিকে থাকবে হালকা কুয়াশা। আবহবিদরা জানাচ্ছে, দক্ষিণ-পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমের বাতাসের সংস্পর্শের কারণে ভোরের দিকে কুয়াশা, ধোঁয়াশার পরিস্থিতি থাকতে পারে। বাতাসে জলীয় বাস্পের প্রভাব থাকায় হেমন্তের চেনা শিরশিরানি এখনই অনুভূত হবে না। 

    এই মুহূর্তে কলকাতাতেও এখন আর কোনও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। দক্ষিণ-পশ্চিম বাতাসের প্রভাব কমবে। ভোরের দিকে মহানগরে কুয়াশার উপস্থিতি দেখা যাবে। আজ, বুধবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪.৪ ডিগ্রি। গতকাল, মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৩ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৫১ থেকে ৯১ শতাংশ। উত্তরবঙ্গেও এখন আর বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। বেশিরভাগ সময় পরিষ্কার আকাশ। কখনও আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে।

    তবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, কেরলের মাহে, তামিললাড়ুর পণ্ডিচেরি এবং করাইকালে। কেরালা ও সংলগ্ন উপকূলে ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ সর্বোচ্চ ৫৫ কিলোমিটার হতে পারে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)