‘দুর্যোগে ৭০ হাজার মানুষ ঘরছাড়া, এক পয়সাও দেয়নি কেন্দ্র’, দার্জিলিং থেকে তোপ মমতার
প্রতিদিন | ১৫ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিম্নচাপের ভারী বৃষ্টি ও হড়পা বানে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের (North Bengal Flood) একাধিক জেলা। দার্জিলিংয়ের বিস্তীর্ণ এলাকা বিপর্যস্ত। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেন উত্তরবঙ্গে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আজ, বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বিপর্যয় নিয়ে দার্জিলিংয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন। সেখানেই কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করলেন তিনি। “দুর্যোগে ৭০ হাজার মানুষ ঘরছাড়া। এক পয়সাও কেন্দ্র দেয়নি।” ফের ক্ষোভপ্রকাশ করলেন তিনি।
দার্জিলিংয়ের মিরিক-সহ একাধিক জায়গা ধসে বিপর্যস্ত। বহু রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ চলছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিপর্যয়ে ৭০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। উত্তরবঙ্গে মোট ৩২ জন মানুষ এই বিপর্যয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। বৃষ্টি-ধস, ও হড়পা বান ভাসিয়ে দিয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারের একাধিক এলাকা। বিপর্যয়ের পর থেকেই প্রশাসন ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা ত্রাণ ও উদ্ধারকাজের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন। সেজন্য বহু দুর্গতকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে বলে মত মুখ্যমন্ত্রীর। এদিন প্রশাসনের আধিকারিক, কর্মী, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীদের স্যালুট জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে জানানো হয়েছে, ৭০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়ে। দার্জিলিংয়ে মোট ১৭টি ত্রাণ শিবির এই মুহূর্তে চলছে। সেই শিবিরে এখনও ৭৫০ জন মানুষ রয়েছেন। বিপর্যয়ের পর ১৩০০ মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছিল। ৩০ হাজার মানুষকে রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে। পরিশ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। বিপর্যয়ে ৮১টি রাস্তা ও ১১টি ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্য সরকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাচ্ছে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চলছে কাজ। দিল্লির কোনও সাহায্য নয়, রাজ্য সরকারই সাধারণ মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে। জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। সাতদিনের মধ্যে দুধিয়ায় অস্থায়ী সেতু তৈরি হবে বলেও জানানো হয়েছে। রাস্তা, ব্রিজ রাজ্য সরকারই তৈরি করে দেবে বলে খবর। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের শস্যবিমার টাকা দেওয়া হবে।
ভুটান থেকে নেমে আসা জলে উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে। সেই অভিযোগ আগেই করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে সাহায্যের আবেদন জানানো হয়েছে। ত্রাণ তহবিল ইতিমধ্যেই খোলা হয়েছে। সেই কথা আবারও জানিয়েছেন মমতা। যারা চাইবেন, তাঁরা এই আবেদনে সাড়া দিতে পারেন বলে জানানো হয়েছে।