স্টাফ রিপোর্টার: কেন্দ্রীয় অভিন্ন পোর্টাল মারফত রাজ্যের কলেজগুলোয় স্নাতকস্তরে ভর্তির পরে অবশিষ্ট আসনগুলিতে ভর্তি ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে। অর্থাৎ কলেজগুলি এবার নিজেদের উদ্যোগে বাকি আসন পূরণ করতে পারবে, পরিভাষায় যাকে বলা হয় ডিসেন্ট্রালাইজড অ্যাডমিশন। গত ১২ অক্টোবর সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। উত্তরবঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ভর্তির সময়সীমা বাড়তে পারে বলে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের খবর।
আশুতোষ কলেজ-সহ বেশ কয়েকটি কলেজ ওয়েবসাইট খুলে ভর্তি শুরু করে দিয়েছে। এই কলেজে মোট আসন ৩,৩৩০টি। অভিন্ন পোর্টালে দু’দফায় প্রায় ১৪০০ আসন ভরেছে। আশুতোষ কলেজের অধ্যক্ষ মানস কবি বলেন, ‘‘আমাদের কলেজে অনেক আসন পূরণ হয়ে যায়। তবে সাধারণ ডিগ্রি কলেজে ভর্তির প্রবণতা কয়েক বছর ধরে কমছে। এবারও ব্যতিক্রম নয়। পেশাদার কোর্সে ভর্তির প্রবণতা বাড়ছে।’’
চলতি বছরে রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকে ভর্তির জন্য অভিন্ন পোর্টাল চালু হয়েছিল জুন মাসে। দু’দফায় কাউন্সেলিংয়ের আয়োজন হয়। প্রথম দফার কাউন্সেলিংয়ের জন্য নাম নথিভুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয় ১৮ জুন। আবেদন প্রক্রিয়া শেষে প্রথম দফায় কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন ২ লক্ষ ৩০ হাজার ৭০৪ জন। ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল ১ আগস্ট। কিন্তু ওবিসি জটের কারণে দিন পরিবর্তন করা হয়। জানানো হয়, ক্লাস শুরু হবে ৭ আগস্ট। এরপর ফের ওবিসি মামলার জটিলতায় ভর্তির প্রক্রিয়া থমকে যায়। ওবিসি জট কাটতেই কলেজে ভর্তি আবার গতি পেয়েছে।
শিক্ষাদপ্তর সূত্রের খবর, প্রথম এবং দ্বিতীয় দফার কাউন্সেলিং মিলিয়ে পোর্টালে মোট ৪ লক্ষ ২১ হাজার ৩০১ পড়ুয়ার আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। গত বছর ভর্তির সংখ্যা ছিল ৪ লক্ষ ৪৪ হাজারের মতো। উচ্চশিক্ষা দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, উচ্চ মাধ্যমিকে এবছর চার লক্ষের কিছু বেশি পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। ওবিসি জটিলতার দরুন কলেজে ভর্তিতে দেরি হয়েছে। উপরন্তু উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ বহু পড়ুয়া ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি বা পলিটেকনিকে পেশাদার কোর্স নিয়ে পড়াশোনা করেন। ফলে উচ্চ মাধ্যমিকে পাস করে সকলেই সাধারণ ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হবেন, এমনটা নয়। প্রতি বছরই কিছু হেরফের থাকে।