জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: নজরে ছাব্বিশ। এবার আদিবাসী আবেগে শান। 'বদল যদি ছাব্বিশে আনেন, সুদে-আসলে বদলা আমরা নেব', হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ, 'ভবানীপুরে SIR-র পরে, ২০ হাজার ভোটে হারাব। ৮ ওয়ার্ডে ৫টাকে বিডেপির লিড আছে'।
শুভেন্দু বলেন, 'উত্তরবঙ্গের আর্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়েছিলেন মালদা উত্তরের সাংসদ ও একাধিক বিধায়ক। তাঁকে যেভাবে মেরেছে, কারা মেরেছে? এই জেহাদি, বাংলাদেশের মুসলমান, অনুপ্রবেশকারী যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটব্যাংক'। বিজেপি কর্মীদের কাছে শুভেন্দুর প্রশ্ন, রক্ত দেখেছেন আপনারা। রক্ত দেখার পরে আপনাদের রক্ত ফোটেনি? আপনারা বদলা চান, হ্যাঁ কি না। বদল যদি ছাব্বিশে আনেন, সুদে-আসলে বদলা আমরা নেব'।
বছর ঘুবলেই রাজ্যের বিধানসভা ভোট। শাসক থেকে বিরোধী, সবার পাখির চোখ ছাব্বিশ। আর তার আগেই জেলায় জেলায় এখন চলছে শক্তি বৃদ্ধির পালা। পায়ের তলার মাটি শক্ত করার পালা। ভোটবাক্সে কার জোর বেশি, সেই রণকৌশল তৈরির স্ট্র্যাটেজি। বস্তুত, ছাব্বিশে ভবানীপুর থেকে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রার্থী হবেন, তা ঘোষণা করে দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। সমস্ত বিবাদ মিটিয়ে দলের কর্মীদের প্রস্তুতি নামার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
তখন সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু। একুশের ভোটে নন্দীগ্রামে তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা। ভবানীপুর থেকে তৃণমূলের টিকিটে ল়ড়েছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু নন্দীগ্রামে জিততে পারেননি তৃণমূলনেত্রী। উপনির্বাচনে ভবানীপুর থেকে জিতে বিধায়ক হন তিনি। শোভনদেব পাঠিয়ে দেওয়া হয় খড়দহে।