• ফাঁসি না ইঞ্জেকশন, কীভাবে মৃত্যদণ্ড? জনস্বার্থ মামলায় বড় পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের
    প্রতিদিন | ১৬ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে মৃত্যদণ্ড হিসাবে ফাঁসি দেওয়া হয়। শাস্তির এই পদ্ধতি অনেকের কাছেই মধ্যযুগীয় তথা অমানবিক। বিকল্প হিসাবে প্রথম বিশ্বের বেশ কিছু দেশের কায়দায় প্রাণঘাতী ইঞ্জেশকশনে মৃত্যদণ্ডের দাবি উঠছে। সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে হতাশা ব্যক্ত করল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতির বেঞ্চের বক্তব্য, সময়ের সঙ্গে (মৃত্যুদণ্ডে) বদল আনতে তৈরি নয় কেন্দ্রীয় সরকার।

    মৃত্যুদণ্ডের পদ্ধতি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলা উঠেছিল শীর্ষ আদালতে। ওই মামলায় মৃত্যুদণ্ডকে অমানবিক বলে দাবি করা হয়, সর্বোচ্চ সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির কমপক্ষে মৃত্যুর পদ্ধতি বেছে নেওয়ার অধিকার থাকা উচিত। আইনজীবী ঋষি মালহোত্রা বলেন, “অন্তত দণ্ডিত ব্যক্তিকে একটা বিকল্প দিন… তারা ফাঁসি চাইবে নাকি প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশন চাইবে। ফাঁসির বিপরীতে প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশন দ্রুত, মানবিক এবং শালীন। যেখানে ফাঁসির সাজা নিষ্ঠুর, বর্বর এবং দীর্ঘস্থায়ী যন্ত্রণার।” শুনানিতে উল্লেখ করা হয় যে সামরিক বাহিনীতে এই ধরনের বিকল্প রয়েছে।

    যদিও হলফনামায় সরকার পক্ষ জানিয়েছে, এই বদল এখনই সম্ভব নয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সাজা দেওয়ার জন্য প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশন ব্যবহার ‘খুব বেশি কার্যকরী’ না-ও হতে পারে। এরপরেই বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার পর্যবেক্ষণ, “সমস্যা হল সরকার বিকশিত হতে (নতুন পদ্ধতি গ্রহণ করতে) প্রস্তুত নয়… এটি (ফাঁসি দিয়ে মৃত্যু) একটি অনেক পুরনো পদ্ধতি। সময়ের সঙ্গে সবকিছু বদলে গিয়েছে।” শেষ পর্যন্ত এদিনের শুনানিতে কোনও রায় দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। পরবর্তী শুনানি ১১ নভেম্বর।
  • Link to this news (প্রতিদিন)