সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারের নির্বাচনী লড়াই জোরদার হচ্ছে। একের পর এক প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করছে বিভিন্ন দল। বুধবার, যাদব পরিবারের গড় রাঘোপুরে মনোনয়ন জমা দিলেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। ২০২৫-এ জিতলে রাঘোপুর থেকে টানা তিনবার জয়ের রেকর্ড হবে তেজস্বীর। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েও শেষ মুহূর্তে পিছু হটেছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। মনে করা হচ্ছে, পিকে পিছু হটায় রাঘোপুরের রাস্তা মসৃণ হয়ে গেল তেজস্বীর।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব এবং রাবড়ি দেবীর উপস্থিতিতে নিজের মনোনয়নপত্র জমা দেন ৩৫ বছরের তেজস্বী। বৈশালী জেলার সদর হাজিপুরের জেলা শাসকের দপ্তরে নথি জমা দেন তিনি। লালু-রাবড়ির পাশাপাশি প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন, মিসা ভারতী এবং সঞ্জয় যাদব। এই রাঘোপুর আসন থেকেই এর আগে জিতেছেন আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদব এবং তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী। দু’জনেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আরজেডি সরকার গড়লে এবার রাঘোপুর নির্বাচিত করতে চলেছে তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রী।
বিশ্লেষকদের ধারণা, ২০২৫-এর নির্বাচনে রাঘোপুরে জিততে বেশি বেগ পেতে হবে না তেজস্বীকে। শেষ মুহূর্তে, নির্বাচনের লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। রাঘোপুরে তেজস্বীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও বুধবার পিছু হটেছেন তিনি। প্রশান্তের দাবি, দলের স্বার্থে প্রার্থীদের জেতানোই তাঁর মুখ্য ভূমিকা হতে চলেছে এই নির্বাচনে। একইসঙ্গে ভোটকুশলীর ভবিষ্যদ্বাণী এবারের নির্বাচনে নিশ্চিতভাবে পরাজিত হতে চলেছে এনডিএ।
এই নির্বাচনে এনডিএ-র হারের পূর্বাভাস দিয়ে পিকে জানান, “২৫টি আসনে জিততেও হিমশিম খেতে হবে নীতীশের জেডিইউকে। ওদের ভবিষ্যৎ জানতে বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। বিহারে কোনওভাবেই ক্ষমতায় আসতে পারবে না এনডিএ এবং নীতীশ কুমারও আর মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন না।”