• ‘ভুল করলে ক্ষমা, মেয়েকে ন্যায়বিচার দিন’, মমতার কাছে কাতর আর্জি দুর্গাপুরের নির্যাতিতার বাবার
    প্রতিদিন | ১৬ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্ষণে অভিযুক্তদের ক্ষেত্রে রাজ্য প্রশাসনের বরাবরই ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি। দুর্গাপুরে ওড়িশার পড়ুয়ার ধর্ষণের অভিযোগও গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সুবিচারের দাবিতে ফুঁসছেন নির্যাতিতার বাবা-সহ সকলে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তাঁর কাতর আর্জি, “মেয়েকে ন্যায়বিচারের ব্যবস্থা করে দিন।”

    বুধবার ‘নির্যাতিতা’কে নিয়ে ওড়িশায় ফিরে যান তাঁর বাবা। তার আগেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সোনার বাংলা সোনার হয়ে থাকুক। আমরা ওড়িশা চলে যাচ্ছি। আর ফিরে আসব না। অনেক আশা, ভরসা করে, মেয়েকে ডাক্তার করার স্বপ্ন নিয়ে এখানে এসেছিলাম। আমার মেয়ের ভবিষ্যৎ যা নষ্ট হওয়ার হয়ে গিয়েছে।” সিবিআই তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সিবিআই তদন্ত তো চাই। তবে সবটাই বাংলার সরকারের উপর নির্ভর করছে।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রণাম জানিয়ে তাঁর কাতর আর্জি, “যদি আমি ভুল করি, ছেলে মনে করে ক্ষমা করে দেবেন। আমার মেয়েকে ন্যায় দেওয়ার চেষ্টা করবেন, আমার অনুরোধ।”

    প্রসঙ্গত, ‘নির্যাতিতা’ ওই তরুণী ওড়িশার বাসিন্দা। দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। গত ১০ অক্টোবর রাতে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে এক সহপাঠীর সঙ্গে খেতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, কলেজ ক্যাম্পাস থেকে এক কিলোমিটার দূরে জঙ্গলে তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়। নির্যাতিতাকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। তবে তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে পরে জানানো হয়, গণধর্ষণ নয়। একজনই ধর্ষণ করেছে ডাক্তারি পড়ুয়াকে। বাকিদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মেডিক্যাল পড়ুয়ার সহপাঠীও বর্তমানে শ্রীঘরে। প্রথম থেকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন ‘নির্যাতিতা’র বাবা। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সকলেই।
  • Link to this news (প্রতিদিন)