• প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ধ্বস্ত পূর্ব ও উত্তর ভারত, ১০০ দিনের কাজের চাহিদা বৃদ্ধি, ১২ হাজার কোটি বাড়তি বরাদ্দের ভাবনা
    বর্তমান | ১৬ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ১০০ দিনের কাজের চাহিদা আবার বাড়ছে। মূল কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, বন্যা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়। উত্তর ভারত থেকে পূর্ব ভারত। বিগত কয়েকমাসে বন্যা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে বিধ্বস্ত লোকালয়। জমি, বাড়ি জলমগ্ন। আর এসবের পরিণাম, সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে প্রবলভাবে বেড়েছে ১০০ দিনের কাজে অন্তর্ভুক্ত হয়ে কিছু রোজগারের চেষ্টা। কিন্তু সমস্যা হল বাজেট বরাদ্দ। বিগত আর্থিক বছরের তুলনায় এই বছর ১০০ দিনের প্রকল্পের অর্থবরাদ্দ এক টাকাও বাড়ানো হয়নি। ২০২৪-২৫ সালের বাজেটেও বরাদ্দ ছিল ৮৬ হাজার কোটি টাকা। ২০২৫-২৬ সালের বাজেটেও সেই একই অঙ্ক। অর্থাৎ ৮৬ হাজার কোটি টাকা। কেন এক পয়সাও বাড়ানো হয়নি এই বরাদ্দ? এই প্রশ্ন উত্থাপিত হওয়ায় অর্থমন্ত্রক বলেছিল, পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে যেহেতু বিপুল অর্থবরাদ্দ করা হয়েছে, তাই কর্মসংস্থানও যথেষ্ট হবে। ১১ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। তাই মনে করা হয়েছে যে, ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দ বৃদ্ধি না করলেও চলবে। 

    যদিও বিগত আর্থিক বছরে ৮৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলেও শেষ পর্যন্ত ১০০ দিনের কাজে ব্যয় হয়েছে ১ লক্ষ ৬ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ দফায় দফায় অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ করতে হয়েছে। আর এবারও সেপ্টেম্বর মাস যাওয়ার আগেই ফের চাহিদা প্রবল আকার নেওয়ায় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক অর্থমন্ত্রকের কাছে এখন থেকেই অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দ করার আবেদন জানিয়েছে। বাধ্য হয়ে অর্থমন্ত্রক আপাতত ১২ হাজার কোটি টাকা নতুন করে বরাদ্দ করার পরিকল্পনা নিয়েছে।  যা শীতকালীন অধিবেশনে অনুমোদিত হবে সংসদে। এখনও পর্যন্ত ২০২৫ সালের আর্থিক বছরের প্রথম তিন মাসে ১০০ দিনের কাজের আবেদন হয়েছে কমবেশি মাসে ৩ কোটি । যা বিগত আর্থিক বছরের তুলনায় অনেক বেশি। উদাহরণ হিসেবে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে কাজের আবেদন ছিল ২ কোটি ১০ লক্ষ। ২০২৫ সালের এপ্রিলে সেই সংখ্যা স্পর্শ করেছে ২ কোটি ৮০ লক্ষের বেশি। প্রতি বছরের মতো এবারও  জুলাই থেকে তা কমতে শুরু করেছিল। কিন্তু সেপ্টেম্বর মাসে তা আবার বাড়তে শুরু করেছে। যেহেতু বন্যা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ফসলের কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে একঝাঁক রাজ্যে, তাই ১০০ দিনের কাজের আবেদন জমা পড়ছে গ্রামে গ্রামে। 

    প্রশ্ন উঠছে, চাহিদা অনুযায়ী কেন্দ্র অর্থবরাদ্দ করবে কি না। সংশয়ের কারণ, বিগত কয়েক বছর ধরেই নানাবিধ কারণে বিভিন্ন রাজ্যকে প্রাপ্য বরাদ্দ দেয়নি কেন্দ্র। রাজ্যগুলির পক্ষ থেকে বারংবার আবেদন নিবেদন ও দাবি জানিয়েও ফল হচ্ছে না। 
  • Link to this news (বর্তমান)