বাসের দরজা লক থাকায় বের হতে পারেননি যাত্রীরা, জয়সলমিরে ত্রাতার ভূমিকায় কন্ডাক্টর
বর্তমান | ১৬ অক্টোবর ২০২৫
জয়সলমির: মাত্র দশ মিনিটেই সব শেষ। অভিশপ্ত বাসের দরজা লক থাকাই কাল রাজস্থানের জয়সলমিরে এসি বাসে আগুন লাগার ঘটনার তদন্তে নেমে এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ। এই দুর্ঘটনায় আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় ২০ জনের। জখম আরও ১৬। প্রাথমিক তদন্তে বিপর্যয়ের নেপথ্যে দুটি কারণ জানতে পারা গিয়েছে। প্রথমটি হল, ওই বাসে আতশবাজি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আর দ্বিতীয় কারণ হল, বাসের বিদ্যুতের তারে শর্ট সার্কিট। এজন্য বাসের দরজা লক হয়ে যায়। বাজিতে কোনও কারণে বিস্ফোরণের জেরে আগুন পুরো বাসটিকেই গ্রাস করে। সেই সময় দরজা না খোলায় সময়মতো বেরিয়ে আসতে পারেননি যাত্রীরা।
মঙ্গলবার বিকেল তিনটে নাগাদ ৫৭ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি যোধপুরে রওনা দিয়েছিল। বাসস্ট্যান্ড ছাড়ার মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে বাসটিতে আগুন ধরে যায়। বেঁচে ফেরা যাত্রীদের মুখে ঘুরছে বাসের কন্ডাক্টরের কথা। জীবন বাজি রেখে তিনি অনেক যাত্রীকে বাঁচিয়েছেন। আগুন দেখতে পেয়ে চালক সঙ্গে সঙ্গে বাস থামিয়ে দেন। কিন্তু এসি বাসের দরজা ও জানালা বন্ধ থাকায় যাত্রীরা বের হতে পারছিলেন না। বাসের কন্ডাক্টর রফিক খান। তিনিও জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর ভাই বলেন, ঘটনার সময় রফিক ছিলেন বাসের পিছনে। যাত্রীদের টিকিট পরীক্ষা করছিলেন। আগুন লাগার পরপরই তিনি দরজার কাছে যেতে চেয়েছিলেন। তারপর জখম অবস্থাতেই হামাগুড়ি দিয়ে বাসের দরজার কাছে পৌঁছান। কোনওক্রমে দরজা খুলে দিলে অনেক যাত্রী বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন।
বাসে আপৎকালীন দরজা না থাকায়, সরকারের নজরদারিকে দায়ী করেছেন যাত্রীদের আত্মীয়রা। তাছাড়া আহত যাত্রীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স সময়মতো আসেনি বলে অভিযোগ। হাসপাতালে জখমদের উন্নত চিকিৎসার আশ্বাস দিয়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা। জয়সলমিরের পুলিশ সুপার অভিষেক শিবহরে বলেন, যোধপুর মেডিকেল কলেজে ডিএনএ টেস্টের পর মৃতদের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।