সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: মাথাভাঙা-১ ব্লকের পচাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ছাটখাটের বাড়ি এলাকায় মানসাই নদীর পাড়বাঁধ দখল করে চলছে নির্মাণ। হেলদোল নেই সেচদপ্তর ও গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের। বুধবার এলাকায় গিয়ে দেখা গিয়েছে কংক্রিটের পিলারের জন্য গর্ত করা হয়েছে। অভিযোগ, স্থানীয় এক ব্যক্তি ওই নির্মাণকাজ করছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে জানানো হয়েছে, বাঁধ দখল করা বেআইনি। এনিয়ে সেচদপ্তরকে জানানো হবে। এদিকে, সেচদপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
মাথাভাঙা শহর ও সংলগ্ন এলাকায় কখনও মানসাই নদীর বাঁধ দখল, কখনও আবার সুটুঙ্গা নদীর পাড় দখলের অভিযোগ সামনে এসেছে। প্রতিটি ঘটনায় গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুরসভা, সেচদপ্তরের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে নিজেরা চুপ থাকে। সেচদপ্তরের দাবি, কখন কোথায় নির্মাণকাজ কারা করছে, তা নজরদারি রাখা সম্ভব হয়ে ওঠে না। ফলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ববোধ না থাকলেই সমস্যা দেখা দেয়। তবে স্থানীয় বাসিন্দা বুদারু দাস, দোমাশু দাসের দাবি, নদীর চর দখল বা বাঁধের পাড় দখল সবই রাজনৈতিক নেতাদের আঙ্গুলিহেলনেই হয়ে থাকে। মদত না থাকলে নদীর বাঁধের উপর নির্মাণ করার সাহস দেখাতো না কেউই।
মাথাভাঙা-১ (বি) ব্লক মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী তথা পচাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কল্যাণী রায় বলেন, কারা বাঁধ দখল করে নির্মাণকাজ করছে জানি না। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি। এরসঙ্গে দলের মদতের কোনও বিষয় নেই। যারা এধরনের কাজে মদত দেবে দল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। আমরাও বিষয়টি সেচদপ্তরকে জানাব।
সেচদপ্তরের মাথাভাঙা অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার শ্রীবাস ঘোষ বলেন, বাঁধ দখল করে নির্মাণকাজ করার বিষয়টি এখনও জানি না। কেউ এধরনের কাজ করলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমরা ওই এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখব। নিজস্ব চিত্র।