• জাগরণীর থিম ‘এআই আশীর্বাদ না অভিশাপ’
    বর্তমান | ১৬ অক্টোবর ২০২৫
  • সোমনাথ চক্রবর্তী, ময়নাগুড়ি: এআই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স টেকনোলজিতে মজে গোটা বিশ্ব। তবে এই এআই কি মানব সমাজে ক্ষতিকারক, নাকি আশীর্বাদ? সেটাই কালীপুজোর মণ্ডপে তুলে ধরছে ময়নাগুড়ির জাগরণী। থিমের নাম রাখা হয়েছে— এআই আশীর্বাদ না অভিশাপ। এআই নিয়ে বহু চর্চিত বিষয়গুলি তুলে ধরে ময়নাগুড়িবাসীকে অভিনব মণ্ডপসজ্জা উপহার দিচ্ছে তারা। 

    কলকাতার শিল্পী সুবল পাল এই থিম ফুটিয়ে তুলছেন। থিমের সঙ্গেই সামঞ্জস্য রেখে তৈরি করা হচ্ছে প্রতিমা। ময়নাগুড়ি শহরের দেবীনগরপাড়ায় সুবিশাল মণ্ডপটি তৈরির কাজ যুদ্ধকালীন গতিতে চলছে। প্রচুর শ্রমিক দিনরাত কাজ করছেন। এই মণ্ডপে প্রবেশের রাস্তা এবং বের হওয়ার পথ কোন দিক দিয়ে হবে তা বুধবার খতিয়ে দেখে যান ময়নাগুড়ি থানার আইসি সুবল ঘোষ, ট্রাফিক ওসি অতুল দাস।

    জাগরণীর মণ্ডপ তৈরি করা হচ্ছে প্লাই, কাঠের বাটাম, কম্পিউটারের কিবোর্ড সহ নানান উপকরণ দিয়ে। মণ্ডপে ঢুকতেই দর্শনার্থীদের নজরে আসবে রোবট। যা দর্শনার্থীদের সামনে হাঁটাচলা করবে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন কাজও করবে। এককথায় ধীরে ধীরে মানুষ যে আধুনিক হচ্ছে এবং এআইয়ের দিকে ঝুঁকছে, সেটাই তুলে ধরা হবে। জাগরণীর আলোকসজ্জাতেও থাকছে নতুনত্ব। মণ্ডপে প্রবেশের আগে জলপাইগুড়ি থেকে ধূপগুড়ি যাওয়ার মূল রাস্তা থেকে থাকবে আলোকসজ্জা। এছাড়াও থাকবে লাইটিং দিয়েই তৈরি বেশকিছু মডেল। 

    প্রতিবছর ময়নাগুড়িতে জাগরণী বিগ বাজেটের কালীপুজো করে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। প্রতিবছরই নতুনত্ব পুজো মণ্ডপ এরা উপহার দিয়ে থাকে। এবার পুজোর ৪৯ তম বর্ষ। কালীপুজো কমিটির সভাপতি কমল দে, সহ সভাপতি অরুণ রায় ও অমল দে। সম্পাদক তুহিনকান্তি চৌধুরী ও রাজর্ষি বিশ্বাস, সহ সম্পাদক কালীপ্রসাদ পাল ও দেবাশিস দেব। কোষাধ্যক্ষ প্রবীর বিশ্বাস ও আশিস রায়। 

    সম্পাদক তুহিনকান্তি চৌধুরী বলেন, আমাদের পুজো দেখার জন্য ময়নাগুড়িবাসী প্রতিবছর অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। তাঁদের আমরা প্রতিবছরই নতুনত্ব কিছু উপহার দিই। আমাদের মণ্ডপে প্রচুর দর্শনার্থী আসেন। আশা করছি, এ বছরও অন্যান্য বছরের সমস্ত রেকর্ড ছাপিয়ে যাবে। এআই মানুষের ক্ষেত্রে ভালো নাকি অভিশাপ, সেটাই তুলে ধরা হচ্ছে।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)