ভূমিকম্পে কাঁপবে ময়নাগুড়ির এসসিএ’র মণ্ডপ দর্শনার্থীদের থ্রিডি’শোতে দেখানো হবে ভয়াবহতাও
বর্তমান | ১৬ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: এবার কালীপুজোতে ভূমিকম্প ময়নাগুড়ি শহরে! বিশ্বাস না হলেও এটা সত্যি। তবে এই ভূমিকম্প বাস্তবে নয়। ভূমিকম্প অনুভব করা যাবে মণ্ডপে এলে। গোটা পুজো মণ্ডপ ভূমিকম্পের কারণে কেঁপে উঠবে। পাশাপাশি চোখের সামনে দর্শনার্থীরা দেখতে পাবেন ভূমিকম্পে একের পর এক বহুতল ধসে পড়ছে। এ বছর কালীপুজোয় এমনই অভিনব মণ্ডপসজ্জা ময়নাগুড়িবাসীকে উপহার দিচ্ছে হাসপাতাল পাড়ার স্পোর্টস অ্যান্ড কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন (এসসিএ)।
এবার এসসিএ’র কালীপুজো ৩৫ বছরে পড়ল। নিজেদের পুজোকে সেরা করতে কমিটির সব সদস্য কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছেন। মণ্ডপ তৈরি করছেন ময়নাগুড়ির শিল্পী প্রদ্যুৎ বিশ্বাস ও উত্তম সরকার। প্রতিমা বানাচ্ছেন নারায়ণ পাল। হাসপাতাল পাড়ায় ঢোকার পথে আছে খাগড়াবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস। সেখান থেকে মণ্ডপ প্রাঙ্গণ পর্যন্ত থাকছে বাহারি আলোরসজ্জা। হাসপাতাল পাড়ার গেটের উল্টোপাশে বানানো হচ্ছে মণ্ডপ।
এসসিএ ক্লাবের এ বছরের কালীপুজো কমিটির সভাপতি সত্যজিৎ মাহাত, মহম্মদ জিন্নাদ এবং বিমানজিৎ বড়ুয়া। সহ সভাপতি মণীষ রায় ও বিশ্বজিৎ সরকার। সম্পাদক দীপক সাহা ও প্রদীপ্ত দাস। সহ সম্পাদক রাজু চৌধুরী। কোষাধ্যক্ষ পীযূষ রায়, সহ কোষাধ্যক্ষ রাজা মিত্র। তাঁরা ছাড়াও উত্তম মণ্ডল, বিমল সরকার, রনি দাস, কল্যাণ অধিকারী, সঞ্জীব সাহা, মনোজ আলি, প্রদীপ দাস, রঞ্জিত সরকার সহ অন্যান্যরা এই পুজোকে কেন্দ্র করে দিনরাত পরিশ্রম করছেন।
১৯৯১ সাল থেকে এসসিএ ক্লাবের পুজো হয়ে আসছে। এবছর পুজোর বাজাটে বিগতবছরগুলি অপেক্ষা অনেকটাই বেশি, জানিয়েছেন কমিটির কর্মকর্তারা। তাঁরা বলেন, এবার পুজো মণ্ডপে থ্রিডি’শো হবে। দর্শনার্থীদের বিশেষ চশমা দেওয়া হবে। একদিকে যেমন তাঁরা নিজেরাই ভূমিকম্প অনুভব করবেন, তেমনই থ্রিডির মাধ্যমে ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিজের চোখে উপলব্ধি করতে পারবেন।
পুজো কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, ভূমিকম্প কীভাবে হয়, কেন হয়, সেটা যেমন একদিকে তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি ভূমিকম্পের হাত থেকে কীভাবে রক্ষা পাওয়া যাবে, তাও দর্শনার্থীদের লাইট এবং সাউন্ডের মাধ্যমে জানানো হবে। সব বয়সের দর্শনার্থীরাই পুজো মণ্ডপে এসে এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরবেন, আশাবাদী পুজো কমিটির সদস্যরা।