আবাস: রাজ্যে সবচেয়ে বেশি ঘর পাচ্ছে কোচবিহার জেলা, ডিসেম্বর মাসেই মিলবে বাড়ি তৈরির টাকা
বর্তমান | ১৬ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদদাতা, দিনহাটা: বাংলা আবাস যোজনায় রাজ্যের মধ্যে কোচবিহারের সর্বাধিক উপভোক্তা ঘর পেতে চলেছেন। এই প্রকল্পে তাই কোচবিহারের নাম উঠে এসেছে শীর্ষ স্থানে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার মোট ২ লক্ষ ২০ হাজার আবাসের তালিকা ইতিমধ্যেই সুপার চেকিং করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ লক্ষ ৮৯ হাজার উপভোক্তা চূড়ান্তভাবে ঘর পাওয়ার যোগ্য বলে নির্ধারিত হয়েছেন। এই সংখ্যা রাজ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ। যা জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি সমগ্র উত্তরবঙ্গের জন্য গর্বের বিষয় হয়ে উঠেছে।
ইতিমধ্যেই বিপুল সংখ্যক উপভোক্তার বাড়ি বাড়ি গিয়ে সুপার চেকিংয়ের কাজ করেছেন প্রশাসনের লোকজন। তাঁরা উপভোক্তাদের নথি, জমির কাগজ ও বাড়ির অবস্থা খতিয়ে দেখেছেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ৩ থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত জেলার প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও বিডিও অফিসে উপভোক্তাদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরপর ১৭ নভেম্বর গ্রামসভার মাধ্যমে আবাসের চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করা হবে। ডিসেম্বর মাসে নির্বাচিত উপভোক্তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আবাসের টাকা সরাসরি পাঠানো শুরু হবে বলে জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের দাবি, বাংলা আবাস যোজনায় কোনওপ্রকার অনিয়ম বা দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। সেই কারণে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বিশেষ নজরদারি টিম গঠন করা হয়েছে। জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক, মহকুমা শাসক এবং বিডিও’রা স্বয়ং বাড়ি বাড়ি গিয়ে উপভোক্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাঁদের জায়গাজমি পরিদর্শন করেছেন। প্রতিটি পরিদর্শনের ছবি নির্দিষ্ট অ্যাপে আপলোড করা হচ্ছে এবং উপভোক্তাদের বাড়ির জিও ট্যাগিং সম্পন্ন করা হয়েছে।
প্রশাসনের কড়া নির্দেশ, যাঁদের পাকা বাড়ি রয়েছে বা পরিবারের কোনও সদস্য সরকারি চাকরি করেন, তাঁরা এই প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন না। একইভাবে, যাঁরা এরআগে অন্য কোনও সরকারি প্রকল্পে ঘর পেয়েছেন এমন ব্যক্তির নামও তালিকা থেকে বাতিল করা হয়েছে।
দিনহাটা-২ এর বিডিও নীতিশ তামাং বলেন, আগামী ডিসেম্বর মাসে আমাদের ব্লক থেকে মোট ২১ হাজার ১৬৪ জন উপভোক্তা বাংলা আবাস যোজনার ঘর পাবেন। কোচবিহারের অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) সৌমেন দত্ত বলেন, গোটা জেলায় ২ লক্ষ ২০ হাজার আবাসের তালিকা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ লক্ষ ৮৯ হাজার উপভোক্তা যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন। ডিসেম্বর মাসেই তাঁদের দেওয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রকল্পের টাকা পাঠানো হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই উপভোক্তাদের ঘরের কাজ শুরু করতে হবে। আমাদের টিম নজরদারি চালাবে।
কোচবিহারের সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, রাজ্যের মধ্যে কোচবিহার জেলা সর্বাধিক ঘর পেতে চলেছে। এটি জেলার মানুষের জন্য একটা বড় সাফল্য। আবাস যোজনার সুপার চেকিং।