• সিউড়ি শহরে কালীপুজোর চাঁদার জুলুমবাজি সেনাকর্মীকে মারধরের অভিযোগ, চাঞ্চল্য
    বর্তমান | ১৬ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: কালীপুজোয় চাঁদা চেয়ে জুলুমবাজির অভিযোগ উঠল সিউড়ির একটি ক্লাবের সদস্যদের বিরুদ্ধে। জুলুমের শিকার হয়েছেন এক সেনা জওয়ান ও তাঁর স্ত্রী। ওই দম্পতিকে প্রকাশ্য রাস্তায় মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। মোবাইল ফোন ভেঙে দেওয়া হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সিউড়ি শহরে। ওই সেনা জওয়ানের দাবি, তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেননি। তবে, সন্তানকে ডাক্তার দেখানোর তাড়া থাকায় ফেরার সময় চাঁদা দেবেন বলেছিলেন। তাতেই বচসার জেরে তাঁকে মারধর করা হয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে সিউড়ি থানার পুলিশ। একজনকে আটক করা হয়। জেলার পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুবরাজপুরের বাসিন্দা সেনাকর্মী গোপীনাথ দত্ত বর্তমানে কাশ্মীরে কর্মরত। পুজোয় ছুটি নিয়ে দুবরাজপুরের বাড়িতে এসেছেন। বুধবার দুবরাজপুর থেকে টোটোয় চড়ে স্ত্রী ও সন্তানকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে এসেছিলেন। টোটোয় করে যাওয়ার সময় সিউড়ি শহরের বড়বাগানের কাছে ১০-১২জন যুবক তাঁদের পথ আটকায় বলে অভিযোগ। কালীপুজোর চাঁদা চাওয়া হয়। ওই দম্পতি যুবকদের জানান, ডাক্তার দেখিয়ে তাঁরা এই রাস্তা দিয়েই ফিরবেন। সেইসময় চাঁদা দেবেন। অভিযোগ, এরপরই জোরজুলুম শুরু হয়। অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। টোটো থেকে নামিয়ে সেনাকর্মী ও তাঁর স্ত্রীকে মারধর করা হয়। সেনাকর্মীর স্ত্রীর হাতে আঘাত লাগে। তাঁদের মোবাইল ফোন দু’টি ভেঙে দেওয়া হয়।

    সেনাকর্মী গোপীনাথ বলেন, ছুটিতে বাড়ি এসেছি। এদিন সন্তানকে ডাক্তার দেখাতে সিউড়ি এসেছিলাম। বড়বাগানের কাছে কালীপুজোর চাঁদা লাগবে বলে টোটোর সামনে দাঁড়িয়ে পড়ে কয়েকজন। আমরা ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার পথে চাঁদা দেব বলেছিলাম। খুব তাড়া ছিল। আমাদের কথাই না শুনে ওরা জোরজুলুম শুরু করে। টানাহ্যাঁচড়া শুরু করে। স্ত্রীকে মারধর করে। আমাদের ফোন ভেঙে দেয়। ওইসময় টোটোর পিছনেই দাঁড়িয়েছিলেন এক যুবক। তিনি বলেন, আমার চোখের সামনেই ঘটনাটা ঘটেছে। ওই দম্পতি ফেরার সময় চাঁদা দেবে বলছিল। চাঁদা আদায়কারী একজন অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে দেয়। বচসার জেরে কয়েকজন যুবক মহিলাকে টানাহ্যাঁচড়া শুরু করে। মারধরও করে। এরপর তাঁর স্বামী প্রতিরোধ করতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। খবর পেয়েই সেখানে আসে সিউড়ি থানার পুলিশ। দম্পতিকে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। পরে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ওই সেনাকর্মী। এই ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। 

    এব্যাপারে ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অনিল দাস বলেন, চাঁদা তোলা নিয়ে একটা ঝামেলা হয়েছে। মারধরও করেছে। খুবই বাজে ঘটনা। যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। তবে চাঁদা তোলার ব্যাপারটা আমার জানা ছিল না। আজ থেকেই চাঁদা তোলা শুরু হয়েছে শুনলাম।  মারধর নিয়ে তদন্তে ঘটনাস্থলে পুলিশ। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)