• গ্রপ সি-ডি’র তালিকাও প্রকাশ করতে চলেছে এসএসসি, ৩৫০০ ‘দাগি’ বসতে পারবেন না পরীক্ষায়
    বর্তমান | ১৬ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: অযোগ্য শিক্ষকদের মতো এবার ‘দাগি’ শিক্ষাকর্মীদের বিস্তারিত তালিকাও প্রকাশ করতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। মাস ফুরোলেই গ্রুপ ‘সি’ এবং ‘ডি’ কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে। শূন্যপদ ৮,৪৭৭টি। আগামী ৩ নভেম্বর সেই শূন্যপদ পূরণের জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু হবে। তার আগেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারানো ‘দাগি’ শিক্ষাকর্মীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। অন্তত ৩,৫০০ জনের নাম সেই তালিকায় থাকতে পারে বলে সূত্রের খবর।

    সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়া তথ্য বলছে, ২,৪৮৩ জন প্রার্থীকে গ্রুপ ‘সি’ এবং ৪,৫৫০ জন প্রার্থীকে গ্রুপ ‘ডি’ পদে নিয়োগপত্র দিয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এর মধ্যে গ্রুপ ‘সি’তে ৪১৬ জন এবং গ্রুপ ‘ডি’তে ৬৬৯ জনের নাম সুপারিশই করেনি এসএসসি। তাঁদের নাম স্বাভাবিকভাবেই ‘দাগি’ তালিকায় থাকবে। ওএমআর শিটের সঙ্গে নম্বরের হেরফের থাকা সত্ত্বেও গ্রুপ ‘সি’তে চাকরি পেয়েছিলেন ৭৮৩ জন। গ্রুপ ডি’তে এই সংখ্যাটা ১,৭৪১ জন। র‌্যাঙ্ক জাম্প করে প্যানেলে আনা হয়েছে মোট ৩৬৯ জনকে (গ্রুপ ‘সি’ ১৩২ এবং গ্রুপ ‘ডি’ ২৩৭ জন)। প্যানেলে না থাকা সত্ত্বেও সুপারিশপত্র এবং নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল মোট ১১২০ জনকে (গ্রুপ ‘সি’ ২৪৯ এবং গ্রুপ ‘ডি’ ৩৭১ জন)। মোট সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৪ হাজার ৯৮ জন। তবে, একই ব্যক্তি একাধিক অবৈধ উপায়ে চাকরি পাওয়ায় সংখ্যাটা ৩,৫০০-র আশপাশে থাকবে বলেই আন্দাজ করা হচ্ছে। আর এসএসসি’র চূড়ান্ত স্ক্রুটিনির পর সেই সংখ্যায় কিছু হেরফের হতে পারে বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ১১ হাজারের কিছু বেশি যোগ্য শিক্ষক চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরি করে যাওয়ার ছাড়পত্র পেয়েছেন। কিন্তু শিক্ষাকর্মীদের ক্ষেত্রে সেই ছাড় দেওয়া হয়নি। সরকার অযোগ্য শিক্ষক এবং সমস্ত শিক্ষাকর্মীদের ভাতা দেওয়ার উদ্যোগ নিলেও মামলার জেরে তা আটকে যায়। ইতিমধ্যেই শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। শিক্ষাকর্মী নিয়োগের পরীক্ষা হতে পারে জানুয়ারিতে। অর্থাৎ যোগ্য শিক্ষাকর্মীদের ফের নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করে চাকরি ফেরত পেতে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে। ততদিন বেতনহীন হয়েই থাকতে হবে তাঁদের।

    ইতিমধ্যে নবম থেকে একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগের জন্য দু’দফায় হওয়ায় পরীক্ষা নিয়ে নয়া সমস্যা দেখা দিয়েছে। পরীক্ষা দু’টির ‘মডেল আনসার কি’ প্রকাশ করেছে কমিশন। তার ভিত্তিতে ৯২ হাজারেরও বেশি প্রার্থী চ্যালেঞ্জ করেছেন বলে সূত্রের খবর। তাঁদের দাবি, যেটিকে আদর্শ উত্তর বলা হচ্ছে, সেটি ভুল। কমিশনের বিশেষজ্ঞ কমিটি এই আবেদন খতিয়ে দেখবে। তাদের মতে, কোনও প্রশ্নোত্তরে সত্যিই ভুল থাকলে তা সংশোধন করা হবে। এরপর চূড়ান্ত আনসার কি এবং ফলপ্রকাশের পথে হাঁটবে কমিশন। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, শিক্ষকদের নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই। 
  • Link to this news (বর্তমান)