সংবাদদাতা, বারুইপুর: বিয়ের পর থেকে অশান্তি লেগেছিল দম্পতির মধ্যে। এর জেরে স্বামীকে ছেড়ে স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। পরে স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন জামাই। কিন্তু মেয়েকে ছাড়তে নারাজ শ্বশুর-শাশুড়ি। এর জেরে শ্বশুর ও শাশুড়িকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল জামাইয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার, কুলতলির মাধবপুর এলাকায়। জখম শ্বশুর-শাশুড়িকে কুলতলি জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কুলতলি থানার পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম কালীদাস নস্কর। জানা গিয়েছে, কুলতলির দেউলবাড়ির বাসিন্দা কালীদাস নস্করের সঙ্গে সাত মাস আগে বিয়ে হয়েছিল মাধবপুরের সুস্মিতা দাসের। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় সুস্মিতা বাপের বাড়ি ফিরে আসেন। আক্রান্ত শ্বশুর জগদীশ দাস বলেন, মেয়েকে আর শ্বশুরবাড়ি যেতে দিতে চাইনি। সেই আক্রোশে জামাই বাড়িতে চড়াও হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। মেয়ে চিৎকার করে উঠলে স্থানীয় বাসিন্দারা চলে আসেন। তাঁরাই উদ্ধার করে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে যান। জামাইকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, অস্ত্রটিও বাজেয়াপ্ত করেছে।