• পুজোর আগে ইট দিয়ে সারাই করা রাস্তা বেহাল, বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি
    বর্তমান | ১৬ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: চিত্র ১: স্থান কামালগাজি মোড়। খানাখন্দে ভরা রাস্তা পুজোর আগে ইট বিছিয়ে মেরামত করা হয়েছিল। তারপর কয়েক দফা ভারী বর্ষণের পর সেই ইট ভেঙে রাস্তার দফারফা হয়ে গিয়েছে। ফলে রাস্তার অবস্থা এমন হয়েছে যে গাড়ি দূরের কথা, ভালোভাবে হেঁটে যাওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বাইক ও অটো চালকদের অত্যন্ত বিপজ্জনকভাবে যাতায়াত করতে হচ্ছে। 

    চিত্র ২: স্থান রাজপুর ফাঁড়ি। এই এলাকায়ও পুজোর আগে ভাঙা রাস্তা মেরামত করা হয়েছিল ইট পেতে। সেই রাস্তাই এখন এলাকার বিভীষিকায় পরিণত হয়েছে।। টানা বৃষ্টি ও ভারী যান চলাচলের কারণে ইটগুলি ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়ায় রাস্তা এতটাই এবড়োখেবড়ো হয়ে রয়েছে যে যাতায়াত দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। প্রায়শই ঘটছে ছোটোখাটো দুর্ঘটনা। 

    চিত্র ৩: গড়িয়ার কন্দর্পপুরের লস্করপুর। জায়গাটি রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে। এখানে রাস্তার অস্তিত্বই নেই বললে চলে। পিচের আস্তরণ অনেক আগেই উঠে গিয়েছে। ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে। কিছুদিন আগে সেখানে রাবিশ ফেলা হয়েছিল। তাতে আরও অবনতি হয়েছে ওই রাস্তার হাল। এই রাস্তা ধরে একদিকে গড়িয়া স্টেশন, আরেক দিকে বাইপাস চলে যাওয়া যায়। অনেক ছোট গাড়ি এই পথ ধরে। 

    রাজপুর সোনারপুর পুরসভা এলাকায় রাস্তাঘাটের বেহাল দশার এমনই খণ্ডচিত্র ধরা পড়েছে। এমনিতেই অম্রুত প্রকল্পে পানীয় জলের পাইপলাইন বসানোর জন্য রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি হয়েছে। কিন্তু এখনও নতুন করে মেরামতির কাজ শুরু হয়নি। তার মধ্যে বৃষ্টি ধরতেই বিভিন্ন সড়কের কঙ্কালসার চেহারা যেভাবে বেরিয়ে পড়ছে, তাতে সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের ভোগান্তি বেড়েই চলেছে। অটোচালকরা বলছেন, রাজপুর ফাঁড়ি এবং কামালগাজি মোড়ের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি। সামান্য অসাবধান হলেই ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। 

    সমস্যা নিয়ে সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক লাভলি মৈত্র বলেন, রাজপুর ফাঁড়ির সামনে রাস্তাটি পিডব্লুডির। ওরা দ্রুত সারাইয়ের কাজ শুরু করবে। রাস্তার পাশাপশি দুই ধারে ড্রেন করা হবে। আগামী দিনে এখানে জমা জলের সমস্যাও মিটবে। অন্যদিকে, কন্দর্পপুরের মতো পুর কর্তৃপক্ষের অধীনে থাকা রাস্তার কাজ শুরু হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন পুরসভার চেয়ারম্যান পল্লব দাস। কামালগাজির রাস্তাও যাতে ফের ভালো করে সংস্কার করা হয়, সেই আবেদন করা হবে পিডব্লুডি’কে। যেসব জায়গায় ইট বা খোয়া বিছিয়ে সাময়িকভাবে মেরামত করা হয়েছিল, সেগুলি এখন অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। কবে রাস্তাঘাট ঠিক হবে, সেটাই এখন প্রশ্ন মানুষের। পুরসভা সূত্রে খবর, কালীপুজোর পর পাইপলাইনের যেটুকু কাজ বাকি রয়েছে, তা শুরু হবে। সেই পর্ব মেটার পরই কাজে হাত দেবে পুরসভা।  কামালগাজির বেহাল রাস্তা। নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)