প্লাস্টিক বন্ধে পুলিশি নজরদারি প্রয়োজন, পুরসভার যথেষ্ট পরিকাঠামো নেই: মেয়র
বর্তমান | ১৬ অক্টোবর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: একটু বেশি বৃষ্টিতেই বানভাসি হচ্ছে কলকাতা। শহরের বিভিন্ন জায়গায় কোথাও হাঁটু জল কোথাও কোমর পর্যন্ত জল দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। ম্যানহোল, গালিপিট পরিষ্কার করতে গিয়ে গুচ্ছ গুচ্ছ প্লাস্টিক, পলিথিনের ব্যাগ পাচ্ছেন পুর-কর্মীরা। যা ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালা থেকে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে এই সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক যাতে শহরের বাজারে ব্যবহার না হয়, তা কেন পুরসভা কিংবা রাজ্য প্রশাসন নিশ্চিত করতে পারছে না, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন এবং বিতর্ক কম হয় না।
এই পরিস্থিতিতে এবার বাজারে বাজারে হানা দিয়ে সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক বাজেয়াপ্ত করা এবং প্রয়োজনে যেখানে এই প্লাস্টিক বা পলিথিন ব্যাগ তৈরি হচ্ছে, সেইসব কারখানার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে পরিবেশ দপ্তরের নিয়মকানুন বদলের প্রয়োজন রয়েছে বলেই মনে করেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাই এই সংক্রান্ত চিঠি তিনি পরিবেশ মন্ত্রীকে পাঠাতে চলেছেন বলে জানিয়েছেন মেয়র। পাশাপাশি সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক যাতে বাজারে ব্যবহার না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে জোরদার পুলিশি নজরদারির জন্য পুলিশ কমিশনারকেও ফের চিঠি লেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে প্লাস্টিক সংক্রান্ত এই বিষয়টি উত্থাপন করেন ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অয়ন চক্রবর্তী। যার পরিপ্রেক্ষিতে ফিরহাদ হাকিম বলেন, পুরসভা এর আগে বাজারে বাজারে প্রচার করেছে। কিছু কিছু সময় অভিযান হয়েছে। কিন্তু এই প্লাস্টিক বাজেয়াপ্ত করা বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার কলকাতা পুরসভার নেই। তাছাড়া পুরসভার ফাইন করার মতো পরিকাঠামো বা লোকবল নেই।
মেয়র আরও বলেন, বিক্রেতার ৫০০ টাকা এবং ক্রেতার ৫০ টাকা ফাইন। প্লাস্টিক কলকাতায় জল জমার সবচেয়ে বড় কারণ। ম্যানহোলের মুখ বন্ধ করে দেয়। অনেকদিন আমরা পরিষ্কার করিয়েছি। তাই এবার পরিবেশ দপ্তরের কাছে চিঠি দেওয়া হবে। নিয়মকানুন বদলের প্রস্তাব দেওয়া হবে।
প্রয়োজনে যে সব কারখানায় এই ধরনের সিঙ্গল ইউজড প্লাস্টিক বা নির্দিষ্ট করে দেওয়া সীমার নীচের মাইক্রনের প্লাস্টিক তৈরি হয়, সেইসব জায়গায় হানা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। সেই ক্ষমতা, পরিকাঠামো, লোকবল কিংবা আইনি অধিকার কোনওটাই পুরসভার নেই বলেই মনে করছে পুর কর্তৃপক্ষ। নিজস্ব চিত্র