এই উৎসবের সময় ঠিক যেভাবে বিশালাকার নৌকাকে ড্রাগনের মতো সাজানো হয়, ঠিক তেমনই মণ্ডপ তৈরি করছেন বনগাঁর শিল্পী রাজু। সঙ্গে থিম ফুটিয়ে তুলতে চন্দননগরের জমকালো আলোকসজ্জার ব্যবহারও করা হচ্ছে।
মণ্ডপের ভিতর ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে নিখুঁত শিল্পের ছোয়ার। থাকছে একাধিক পিলার। যা দেখলে মনে হবে দুধ সাদা মার্বেল দিয়ে তৈরি হয়েছে। সিলিংয়েও থাকছে চোখধাঁধানো কারুকাজ।
তবে সবথেকে বেশি আকর্ষণীয় হতে চলেছে থিমের আদলে তৈরি মাতৃপ্রতিমা। মাকে সাজানো হচ্ছে ৬০ কেজি সোনার গয়না দিয়ে। যার বাজারমূল্য কমবেশি ৭০ কোটি টাকা। মায়ের গায়ে এই বিপুল সোনা দেখতে এখন থেকেই উৎসাহ তৈরি হয়েছে দর্শনার্থীদের মধ্যে। তাই নিরাপত্তাও জোরদার করা হচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি প্রাইভেট সিকিউরিটি ব্যবস্থা করা হচ্ছে পুজো কমিটির তরফে। গোটা মণ্ডপ চত্বর মুড়ে দেওয়া হচ্ছে ৫২টি সিসি ক্যামেরা দিয়ে।
১৩ ফুট উচ্চ ও ২০ ফুট চওড়া সোনায় মোড়া মাকে নিরাপত্তার জন্য দেখতে হবে ৮ফুট দূর থেকে। এনিয়ে পুজো কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা তথা নৈহাটির বিধায়ক সনৎ দে জানিয়েছেন, “ষাটতম বছরে মাকে নামী এক গয়না প্রস্তুতকারক সংস্থা ৬০ কেজি গয়না দিচ্ছে। পুলিশ কমিশনারেটের তরফে পর্যন্ত নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আমরাও বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার ব্যবস্থা রাখছি। আগামী শনিবার পুজো উদ্বোধন করবেন সাংসদ পার্থ ভৌমিক ও সায়নী ঘোষ। সেদিন থেকেই দর্শনার্থীরা মাকে দর্শন করতে পারবেন।”