• বালি-পাথরের কারবারে খোদ পুলিশই, দাবি বীরভূমের ট্রাকমালিক সংগঠনের
    এই সময় | ১৬ অক্টোবর ২০২৫
  • এই সময়, সিউড়ি: ট্রাকমালিকের কাছ থেকে জোর করে টাকা আদায়ের ভিডিয়ো (যার সত্যতা যাচাই করেনি 'এই সময়') প্রকাশ্যে আসতেই দুই এএসআইকে সাসপেন্ড করে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে বীরভূমের পুলিশ। বুধবার সিউড়িতে সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, 'মহম্মদবাজার থানার দুই পুলিশ অফিসারকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। পুলিশ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে।'

    অভিযোগের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়ায় স্বস্তিতে ট্রাকমালিক অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা। তাদের বীরভূম জেলা সম্পাদক আনাস আহমেদ বলেন, 'পুলিশ অফিসারদের একাংশ এখন বালি ও পাথরের কারবার করছে। তাঁদের কাছ থেকে বালি নিলে পথে ট্রাকগুলিকে পুলিশ বাধা দেয় না।'

    সংগঠনের দাবি, মহম্মদবাজার থানারও একাধিক অফিসার ট্রাক কিনে পাথর খাদানে বেনামে ব্যবসা করছেন। অভিযোগ, পুলিশের ট্রাক মূলত খাদান থেকে ওঠা বড় বোল্ডার, পাথর ক্রাশার পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে। ঝুঁকি বেশি থাকায় তাঁদের ট্রাক অন্য জেলায় পাথর পৌঁছতে যায় না।

    সংগঠনের আরও দাবি, বালি মজুত করতে, নামে-বেনামে বালির গোলা চালানোর কাজও করছেন একাধিক অফিসার। নদীর বালি টিলার মতো মজুত থাকে গোলায়। সেখান থেকে ডাম্পার বা লরিতে চলে যায় অন্য জেলায়। একটি বড় চক্র বীরভূমের পাথর শিল্পাঞ্চল, পাঁচামি-লাগোয়া দ্বারকা নদী থেকে বালি তোলার কাজ করছে বলে অভিযোগ।

    পুলিশের একাংশও সরাসরি বেআইনি বালি ও পাথরের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, 'অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারও নাম উঠে এলে তাঁকে তদন্তের আওতায় আনা হবে।'

  • Link to this news (এই সময়)