ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হতেই তৎপর পুলিশকর্তারা, সাসপেন্ড দুই পুলিশকর্মী, শুরু বিভাগীয় তদন্ত ...
আজকাল | ১৬ অক্টোবর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বীরভূম জেলার মহম্মদ বাজার থানার দুই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ট্রাক মালিকদের থেকে অনৈতিকভাবে টাকা নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ পাওয়ার পর জেলা পুলিশ প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর (ASI) সাইফুল ইসলাম এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর (ASI) কিরণ মন্ডলকে তাৎক্ষণিকভাবে সাসপেন্ড করেছে। শুধু সাসপেনশন নয়, তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার আমনদীপ সিং।
ঘটনার সূত্রপাত ঘটে যখন সম্প্রতি একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে দেখা যায় মহম্মদ বাজার থানার দুই পুলিশ অফিসার ট্রাক মালিকদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা আজকাল ডট ইন যাচাই করেনি। এরপর ট্রাক অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক আনাস আহমেদ জানান, ২৩ সেপ্টেম্বর মহম্মদ বাজার থানা দুটি বালি বোঝাই গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে। নিয়ম অনুযায়ী, এই মামলা আদালতে উঠলে বাজেয়াপ্ত করার কারণ জানতে চেয়ে আদালত রিপোর্ট তলব করে। থানার পক্ষ থেকে সেই রিপোর্ট আদালতে দিতে গড়িমসি করা হয়। এর পরিবর্তে, মহম্মদ বাজার থানার দুই পুলিশ অফিসার ট্রাক মালিকদের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা করে মোট ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন এবং ট্রাক মালিকদের সেই টাকা দিতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। এই টাকা নেওয়ার একটি ভিডিওও প্রকাশ্যে আনা হয়।
দুর্নীতির এই অভিযোগ শুধু সাম্প্রতিক নয়। এর আগেও এই অভিযোগ উঠেছে। বারবার এই ধরনের অভিযোগ ওঠায় জেলার সাধারণ মানুষ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মধ্যেও তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। অনেকেই মনে করেন, পুলিশের একাংশের এই ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ শুধু বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে না, বরং এটি একটি বৃহত্তর সমস্যাকে ইঙ্গিত করে। উপরমহল থেকে কঠোর নজরদারি এবং নিয়মিত তদারকি চালালেও তার ফাঁক গলে এক শ্রেণির পুলিশের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ উঠছে। যদিও বর্তমানে মহম্মদ বাজার থানার ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপের দ্রুত পদক্ষেপ প্রশংসিত হয়েছে। পুলিশ সুপার আমনদীপ জানিয়েছেন, সমাজমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও দেখে মহম্মদ বাজার থানার দুই অফিসারকে অবিলম্বে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে এবং যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, বীরভূম জেলা পুলিশ এ ধরনের কাজের প্রতি জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে এবং এই ধরনের কাজকে কখনই গ্রহণযোগ্য ভাবে না।